লিহান লিমা:[২] কোভিড-১৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটের কারণে বিশ্বের লাখ লাখ শিশুর শিক্ষার ভাগ্য সুতোয় ঝুলছে বলে সোমবার নতুন এক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান
[৩]সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, বেশ্বির বেশিরভাগ দেশ গ্রীষ্মের ছুটির পর পুনরায় যখন স্কুল খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এক চতুর্থাংশ দেশ- যার বেশিরভাগই সাব সাহারা আফ্রিকার-স্কুল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সংস্থাটি ৮টি দেশকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রেখেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং আফগানিস্তান। উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, ইয়েমেন, বুরকিনা ফাসো, ফিলিপাইনসহ আরো ৪০টি দেশ।
[৪]জাতিসংঘ বলছে ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো মহামারীতে প্রায় ১৫০ কোটি শিশু স্কুলের বাহিরে ছিলো, এর মধ্যে অন্তত এক তৃতীয়াংশ শিশু অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় নি।
[৫] বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশ দারিদ্র্য, কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অভ্যন্তরীণ সহিংসতার কারণে সংকটের সম্মুখূীন। এই দেশগুলোতে ‘হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মের’ আশঙ্কা বাড়ছে।
[৬] সেভ দ্য চিলড্রেন এর ইউকে- প্রধান নির্বাহী গোয়েন হাইনস বলেন, স্কুল বন্ধের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র শিশুরা। কোভিড শিশুদের ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই কাজ শুরু করতে হবে।
[৭] ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন স্কুল কার্যক্রম খুলে দিচ্ছে তখন অন্যান্য অঞ্চলের দেশগুলোর আরো ১০ কোটি বেশি শিশু ক্লাসরুমের বাহিরে রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এক থেকে দেড় কোটি শিশু আর কখনোই স্কুলে না ফেরার ঝুঁকিতে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মেয়েরা।
আপনার মতামত লিখুন :