ইমরুল শাহেদ: এ তথ্য জানিয়ে প্রযোজক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে মুক্তির জন্য এ পর্যন্ত পাঁচটি ছবির আবেদন জমা পড়েছে। সে ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে কসাই, ঢাকা ড্রিম, পদ্মপূরাণ, বাজি এবং চন্দ্রাবতী কথা। সমিতি সূত্র জানিয়েছে, আরো নতুন ছবির আবেদন জমা পড়তে পারে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন সিনেমা হল বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সিনেমা হল খুললেও দর্শক সমাগমের বিষয়টি বেশ ধীর গতির হয়েছে। একজন প্রদর্শক জানালেন ভালো এবং আকর্ষণীয় ছবি হলে দর্শক সিনেমা আসবেই।
প্রদর্শক সমিতি সূত্রটি জানিয়েছে, ছবি মুক্তির গতিও ধীর। এর কারণ হলো সিনেমা হল খুলে দেওয়া হলেও এখনো কিছু সীমাবদ্ধতাতো আছেই। ইতোমধ্যে বেশ কিছু সিনেমা হল খুলেছে। অনেকে দ্বিধায় আছেন, এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন কিনা। কারণ সিনেমা হল রেখে তাদেরকে প্রতি মাসেই লোকসান গুণতে হচ্ছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে সচল সিনেমা হলের সংখ্যা ৬৬টি। মহামারি শুরু হওয়ার আগে এই সংখ্যা ছিল ২৮৫টির মতো। মাত্র কয়েক মাসের এই সংখ্যা নেমে হয় ১৭৩টি।
সিনেমার ব্যবসা যখন রমরমা ছিল তখন সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল দেড় হাজারের মতো। ছবি মুক্তির স্টেশনই ছিল ৪৩২টি। যদিও সরকারি হিসাবে সিনেমা হলের সংখ্যা একশর কাছাকাছি। বিষয়টি নিয়ে সিনেমা পরিবেশক ও প্রদর্শক সমিতির কর্মকর্তা মিয়া আলাউদ্দীন গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি হিসাবে এখন দেশে ৯২টি সিনেমা হল চালু আছে। খাতা-কলমের হিসাবে ৯২টি হল থাকলেও সচল হলের সংখ্যা মাত্র ৫০। করোনার আগে থেকেই দেশের অনেক জেলা শহরে সিনেমা হল ছিল না।
করোনার এই সময়ে বরগুনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, নড়াইল, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, পঞ্চগড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ ২৫টি জেলা শহরের সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। প্রযোজক, পরিবেশক ও প্রদর্শক সমিতির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল এলাকায় ৪৭টি সিনেমা হল থাকলেও এখন সেখানে মাত্র আটটি। যশোরে ২১টির স্থলে এখন চালু মাত্র তিনটি; সিরাজগঞ্জে ৩১টির মধ্যে মাত্র চারটি, রংপুর বিভাগে ১২৫টির মধ্যে পাঁচটি, দিনাজপুরে ৩০টির স্থলে টিকে আছে মাত্র তিনটি।
আপনার মতামত লিখুন :