মিনহাজুল আবেদীন: [২] বিদেশে যাওয়া ও আসার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বীভৎস হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ রুমিন ফারহানা। প্রথম আলো
[৩] তিনি বলেন, সাত-আট বছর ধরে বিদেশ যাওয়ার সময় তাকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দর থানায় আটকে রাখা হয়। শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন রুমিন ফারহানা।
[৪] রুমিন বলেন, সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, ইহার যে কোনো স্থানে বসবাস ও বসতি স্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে। কিন্তু তার এই অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বাংলানিউজ ২৪
[৫] বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য, সাত-আট বছর ধরে যতোবারই আমি দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট থাকা সত্ত্বেও আমাকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। যদিও বা দু একবার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে তার আগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছে। আমার পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। আড়াই-তিন ঘণ্টা বাদে ফিরে আসার পরে ফ্লাইটের সময় থাকলে যেতে পেরেছি। না হলে পারিনি। বাংলাদেশে আসার সময়ও একই ধরনের হেনস্তার শিকার সাত-আট বছর ধরে হচ্ছি’। সমকাল
[৬] রুমিন বলেন, ২০১৭ সালে তার একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন, কোনো রকমের বাধা দেয়া বা হয়রানি করা যাবে না। স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তিনি যখন বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাকে এভাবে হয়রানি করা হয়।
[৭] বিচার বিভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে নাগরিকের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব, এমন মন্তব্য করে আইনজীবী রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমাদের সংবিধান এমনভাবে লিখিত, যেখানে আইন বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের একটা ওভারল্যাপিং হবেই। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যতো দিন আছে, ততোদিন কোনো কার্যকর আইন বিভাগ পাবো, এই আশা করি না। সরকারে যেই থাকুক না কেনো, এই সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত’। সময় টিভি
[৮] তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিচার বিভাগের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ খুব স্পষ্ট রায় দেন, ন্যায়ের পক্ষে রায় দেন। সেই জায়গায় বিচার বিভাগের রায়কে প্রশাসন একেবারে অগ্রাহ্য করলে রাষ্ট্র টিকে থাকবে কী করে?
[৯] তিনি আরও বলেন, তিনি সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর একটি লাল পাসপোর্ট পেয়েছেন। এরপর পৃথিবীর বিভিন্ন বিমানবন্দরে তিনি যথেষ্ট সম্মান পেয়েছেন। শুধু নিজের দেশে আসা যাওয়ার সময় হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, বহু বড় বড় অপরাধী যখন খুশি তখন দেশ থেকে চলে যান। তারা দেশে ফিরে আসেন। তাদের নামে মামলা হয়। তারা পালিয়ে যান। আদালত তাদের খুঁজে পান না। তারা কিন্তু ঠিকই বিদেশে চলে যান। তাদের ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা দেখা যায় না। বিরোধী দলের একজন কর্মীর ক্ষেত্রে কেন এই ধরনের বাধার মুখোমুখি বারবার হতে হয়, জানতে চান এই সাংসদ। আজকের পত্রিকা
আপনার মতামত লিখুন :