সমীরণ রায়: [২] মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি নির্বাচিত সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, ওয়ার কমিশনের মাধ্যমে যুদ্ধ করতে হবে। তার এই বক্তব্যের জন্য তৎকালীন সেনাপ্রধান ওসমানী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন। তিনি পরে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব ফিরে পান।
[৩] শনিবার ঢাকা ক্লাবে মুজিবনগর এবং বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা-কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ১০ম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] তিনি আরো বলেন, খন্দকার মোশতাক মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা মেরে ফেলবেন। এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সময়-সুযোগ করে পরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করবেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজন নেই।
[৫] মন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন করতেই পারেন, সেই সময় আমরা কেন নিশ্চুপ ছিলাম। আমাদের যে কোনো ভুল হয়নি তা কিন্তু না। আমরা সময়মতো সেই সব চিহ্নিত ব্যক্তিদের সঠিক বিচার করতে পারলে পরবর্তীতে হয়তো ১৫ আগস্টের মতো বেদনাবিধুর দিন দেখতে হতো না।
[৬] তিনি বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই। বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করছে। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে মারা গেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সমর্থন করি না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যার পর তার দলই ক্ষমতায় ছিল। কিছুক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম তাদের হাতের বাইরে গেলেও পরবর্তীতে তারা সেটিও দখল করে। তাহলে জিয়াউর রহমানের মরদেহের কোনো ছবি থাকবে না কেন? যারা রাষ্ট্রপতি বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের সঙ্গে সব সময় ক্যামেরাম্যান থাকে।
[৭] এতে সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন-অর-রশীদ, ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মসিউজ্জামান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :