লিহান লিমা: [২] ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাব এর সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ কোটির বেশি এশিয়ান বিশ্বের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর খাতায় নাম লেখাবে। নতুন এই গবেষণায় বলা হয়েছে, মহামারি যে বিশ্ব অর্থনীতির বিরাট জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তনে একটি অস্থায়ী বিরতি রেখেছে তা প্রমাণিত হবে। ব্লুমবার্গ
[৩]ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাবের মতে, মধ্যবিত্ত পরিবার (মাথাপিছু খরচ প্রতিদিন ১১ থেকে ১১০ ডলার) এর সংখ্যা ২০২১ সালে প্রায় ৩৭৫ কোটির মতো। এই দলটি ভারত এবং চীনের মতো জনবহুল দেশগুলোতে আরো বাড়তে থাকবে। এতে বলা হয় ১’শ কোটি নতুন মধ্যবিত্তের মধ্যে তিন চর্তুথাংশই হবে এই দেশগুলোর। ভারত এবং চীনের মতো জনবহুল দেশগুলোর বাহিরেও আগামী দশকে বিশ্বব্যাপী মধ্যবিত্তের হার সর্বাধিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এদের বেশিরভাগই এশিয়ার দেশগুলোতে হবে। ২০৩০ সালে রাশিয়া ও জাপানকে পেছনে ফেলে চতুর্থ বৃহত্তম মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দেশ হতে পারে ইন্দোনেশিয়া।
[৪] বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ অন্য যে কোনো দেশের চাইতে র্যাংকিয়ে দ্রুত উঠবে বলে গবেষণায় দেখানো হয়। বর্তমানে বৈশ্বিক মধ্যবিত্ত শ্রেণী সূচকে ২৮তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ২০৩০ সালে ১১তম অবস্থানে পৌঁছবে-আরো ৫ কোটির বেশি মানুষ আগামী দশকে মধ্যবিত্ত ভোক্তার খাতায় নাম লেখাবে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশে নতুন মধ্যবিত্তের সংখ্যা হবে ৫ কোটি ২৪ লাখ।
[৫] ইতোমধ্যেই বিশ্বের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অর্ধেকেরও বেশি বাস করে এশিয়ার দেশগুলোতে। কিন্তু ব্যয়ের দিক দিয়ে ভোক্তা ব্যয়ের মাত্র ৪১ শতাংশ তাদের অবদান। ২০৩২ সাল নাগাদ এটি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
[৬] ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাব অনুসারে, চীন, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীসংখ্যা হারে শীর্ষ তিন স্থান ধরে রাখতে পারে। কিন্তু উন্নত অর্থনীতিতে ধীরাবস্থা এবং নেতিবাচক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জাপান, জার্মানি, ইতালি এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণী সংকুচিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :