মাসুদ আলম, আব্দুল্লাহ মামুন: [২] পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না অনলাইন গেমস পাবজি ও ফ্রি ফায়ার। ভিপিএন ছাড়াই অনেক জায়গায় খেলা যাচ্ছে। তবে অধিকাংশ জায়গায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করেই খেলছেন অনেকে।
[৩] শনিবার ‘নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন গেমস আজকের ভার্চুয়াল খেলার মাঠ। সেখানেই সব সময় সাইবার বুলিং হয়। শিশুদের উত্যক্ত করা যায়। অনলাইন গেমিংয়ে তাদের খেলোয়াড় আক্রমণের শিকার হতে পারে। ‘সাইবার বুলিং থেকে সুরক্ষার জন্য সর্বোত্তম পন্থা হলো শিশুরা অনলাইনে কী করছে, সেখানে কী ঘটছে, সে ব্যাপারে বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাপ করা। প্রয়োজনে সন্তানদের অনলাইন ও মোবাইল কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য সাইবার সিকিউরিটি সফটওয়্যার এবং বিশেষ অ্যাপ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু খোলামেলা আলোচনার বিকল্প নেই।’
[৪] একজন অভিভাবক বলেন, সরকার অনলাইনের সকল ক্ষতিকারক গেমস বন্ধ করলেও বাচ্চারা বিকল্প পদ্ধতিতে গেমস খেলছে, যারফলে বাচ্চাদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আশাকরি যতোদ্রুত সম্ভব সরকার ক্ষতিকারক এই গেমসগুলো পুরোপুরি বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
[৫] বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় বলেন, আদালতের নির্দেশে এরই মধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে নির্দেশ দেওয়ার পর তারা বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি ক্ষতিকর অনলাইন প্ল্যাটফরম নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে। দৈনিক ইত্তেফাক।
[৬] জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে যে সমস্ত ক্ষতিকারক গেমস শিশুদের মনোযোগ কেড়ে নেয় সেগুলো বন্ধ করা উচিত। পাবজি- ফ্রি ফায়ার বন্ধে সরকারকে সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ক্ষতিকারক গেমসগুলো দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
[৭] তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিশুদের অনলাইনে ক্ষতিকারক গেমসের প্রতি আসক্তি অনেককাংশে কমে আসবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :