তৌহিদুর রহমান : [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার ধাতুর পহেলা গ্রামের মৃত ইয়াছিন নূরীর ছেলে দুবাই প্রবাসী আহসানুল হক সাহেল (৪০)। একের পর এক করেছেন বিয়ে, সেই সাথে নিজের পরিবারের ভাবী সাথে অনৈতিক সম্পকসহ অনেক নারীদের জীবন করেছেন নষ্ট। এরকম একাধিক অভিযোগ রয়েছে সাহেলের বিরুদ্ধে স্হানীয়রা জানান, এদিকে প্রথম স্ত্রী মিনা বেগম চলতি বছরের গত (২৫) আগস্ট যৌতুক নিরোধ আইনের -৩ ধারা'য় স্বামী সাহেলের বিরুদ্ধে আমলী আদালত আখাউড়া মামলা করলে বিজ্ঞ আদালতের সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন।
[৩] প্রথম স্ত্রী ও মামলার বাদী মিনা বেগম বলেন, আহসানুল হক সাহেলের চরিএ সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারনা ছিলো না। তার বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকের ছেলের চরিএ যে এত খারাপ তা আমার পরিবার বিয়ের আগে বুঝতে পারিনি। আমার বলার কোন ভাষা নাই। ২০০৩ সালের তার কাছে বিয়ে বসার পর থেকে কয়েকবছর শুধু তার সম্পকে নারী কেলেংকারি। বার্ধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরের কাউতলী বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে একই অবস্হা, পাশের বাড়ির এক মহিলাকে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। পরবর্তীতে আবার গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে কিছুদিন পর ভাবীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। একথা শুনার পর তার বড় ভাই মালয়েশিয়া হার্টফেল করে মারা যায়। বিয়ের পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাবার থেকে জমি বিক্রি মোট ১১ লাখ টাকা এনে দেয়। পরে এসব ঝামেলার থেকে বাঁচতে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাকে দুবাই পাঠাই। সেখানে গিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে মালয়েশিয়া থাকা আখাউড়া নয়াদিল গ্রামের আরেক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। সে প্রবাস জীবনে দীর্ঘ ১০ বৎসরে তিন/চার বার দেশে এসেছে। কিন্তু তার কোন খোঁজ পায়না। আমি অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছি বর্তমানে। এবার সে দেশে আসার পর অনেক কষ্ট করে শহরের কলেজ পাড়া খন্দকার ভবনের সন্ধান পেয়ে আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেছে।সে বিষয়টি জানতে পেরে পলাতক রয়েছে। স্বামী নামে কলংক সে , একের পর মেয়ের জীবন নষ্ট করায় তার কাজ। প্রতারক নারী লোভী সাহেলের বিচার দাবী করছি।
[৪] নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাহেলের কয়েকজন প্রতিবেশী ও স্হানীয় জানায়, সাহেল বিগত ২০০৩ সালে একই গ্রামের মৃত খোরশেদ মেম্বারের মেয়ে মিনা বেগম(৩৮) কে বিবাহ করেন। বিয়ের করার সময় তাদের আর্থিক অবস্হা তেমন ভাল ছিলনা। পরে স্ত্রী মিনার সাথে তার এই সংসার জীবনে বেশ কয়েকবছর কেটেছে। এই সংসার জীবনে স্ত্রীর তার বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে ও নানারকম সহযোগিতা করেছে তাকে। সাহেল চারিএিক ভাবে অনেক নষ্ট ছিল, বিয়ের পরও নিজ পরিবারের ভাবী থেকে শুরু করে আশেপাশের গ্রামের অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এসব অপমান সইতে না পেরে স্ত্রী মিনা নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ২০১২ সালে তাকে দুবাই পাঠান। এরপর কিছুদিন পর যাওয়ার পর আমরা জানতে পারে সেখানে বাংলাদেশী এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সে প্রথম স্ত্রী মিনার সাথে একদম যোগাযোগ বিচ্ছিন করে ফেলেছেন। কয়েকবছর আগে শুনলাম সে নাকি আরেকটি বিয়ে করেছে। একের পর এক বিয়ে আর একাধিক মেয়েদের জীবন নষ্ট করা তার আসল চরিএ। সে মূলক প্রতারক, তার বিচার দাবী করছি।
[৫] এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামি আহসানুল হক সাহেলের ব্যক্তিগত মোবাইল কয়েকবার ফোন দিলেও সে তা রিসিভ করেনি।
[৬] আদালতের মামলার বাদী মিনা বেগমের পক্ষে অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম রুমা বলেন, আদালতে যৌতুক নিরোধ ধারা-৩ মামলা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত বাদীর জবানবন্দি শুনিয়া সন্তুষ্ট হয়ে আসামী আহসানুল হক সোহেলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :