শঙ্কর মৈত্র: যখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিলো সেই আমল থেকে খবর সংগ্রহে সেগুন বাগিচায় যাতায়াত। তার পর ব্যুরো বিলুপ্ত হয়ে কমিশন হলো, সেগুন বাগিচা থেকে আগারগাঁওয়ে টানাটানি, কতো ইতিহাস। কতো নিউজ করলাম। কতো ঘটনার সাক্ষী। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার মামলাও খেলাম। প্রত্যাশা ছিলো দেশে দুর্নীতি দমনে একটি শক্তিশালী সংস্থা হবে। বড় বড় দুর্নীতিবাজদের ধরে বিচার হবে। বিচারপতি, জেনারেল, সচিব, কতোজন চেয়ারম্যান হলেন, কমিশনার হলেন, পরিচালক, মহাপরিচালক হলেন। কতো জনের কতো গালগল্প শুনি। সেই আমলের অনেকেই এখন দায়িত্বশীল পদে আছেন। মাঝে মাঝে পাড়া বেড়ানোর মতো দুদকে বেড়াতে গেলে তাদের রুমে রুমে ঢু দেই, সুখ দুঃখের গল্প করি। পুরনো আমলের সম্পর্ক, তাদের অনেকেই মন খুলে কথা বলেন। জানান তাদের হতাশার কথা, কিছু করতে না পারার কথা। বলেন, এখানে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’রা ক্রিম খেয়ে চলে যান। আর ব্যর্থতার দায় পড়ে দুদককে আগলে রাখা নিচের দিকের নিজস্ব জনবলের। তদন্ত, অনুসন্ধানের নামে হয় নয়ছয়। এক পরিচালক বন্ধু জানালেন তাদের, ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না।’ কারণ স্বাধীন মতে কিছুই করার ক্ষমতা নেই তাদের। আমলাতান্ত্রিক প্যাঁচে সব আটকে যায়। রাঘব বোয়ালরা সব ‘জুড়ে বসা’দের সঙ্গে দেশে বিদেশে বসে কফি খান। দুদক আর দাঁড়াবে বলে মনে হয় না। এখানে দশচক্রে ভগবান ভূত হয়ে গেছেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :