শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ রাত
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তালিবানের ৩ গ্রুপের মতপার্থক্য ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে

আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ধারণা করা হচ্ছে, এই মতপার্থক্যের কারণেই  সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। বাতাসে একই সঙ্গে ভাসছে আখুন্দজাদা ও বারাদারের নাম।

[৩] নতুন আফগান সরকার নারীদের প্রতি কী আচরণ করবে, সরকারের কাঠামো কী হবে, আফগানিস্তান কি পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে তাল মেলাবে- এই প্রশ্নগুলো নানান আঙ্গিকে ঘুরছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। তালিবানের বিভিন্ন পক্ষ থেকেও একেক সময় একক ধরণের বক্তব্য আসছে। ফলে নতুন সরকার কেমন হবে, তা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন।

[৪] কিছুদিন আগেই তালিবানের এক নেতা বলেছিলেন, আখুন্দজাদাই আফগান সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। মোল্লা ওমরের মতো তারও পদ হবে আমির-উল-মুমেনিন। তার অধীনে একজন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। সে পদ হবে অনেকটাই আনুষ্ঠানিক। কিন্তু আরেক সূত্রের বরাতে শুক্রবার জানা যায়, সরকার প্রধান হতে চলেছেন মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদার। আর আখুন্দজাদা ধর্মীয় বিষয় দেখবেন।

[৫] আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তালিবানদের মধ্যে ৩টি গ্রুপ বিদ্যমান। একটির নেতৃত্বে আছেন হাবিয়াতুল্লাহ আখুন্দজাদা। এই কট্টরপন্থী নেতা ও তার অনুসারীরা কথিত কোয়েটা সুরার মাধ্যমে তালিবানকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তবে এই গ্রুপের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থার অভিযোগ রয়েছে। তালিবানদের বিভীষিকাময় শাসনের সময় প্রধান কাজীর দায়িত্বে ছিলেন আখুন্দজাদাই। তিনি বর্বরতা পছন্দ করেন, পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর এমন অভিযোগ বেশ পুরোনো।

[৬] মার্কিন আক্রমণে তালিবানদের শিক্ষিত যে অংশটি নানান দেশে পালিয়ে যায়, তার নেতৃত্বে নেতারা শিক্ষিত, ইংরেজিতে সরগর। যখন তালিবান যোদ্ধারা একের পর এক আফগান প্রদেশ দখলে নিচ্ছিলো, তারাই বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা করছিলেন। তবে সরাসরি অস্ত্র হাতে তাদের দেখা যায়নি। এই গ্রুপটিকে প্রায়শই দেখা যায়, নারীবান্ধব সরকার গড়ার কথা বলতে। এদেরই নেতা সুহাইল শাহীন বারবার বলেছেন, এই তালিবান ৯০ দশকের তালিবান নয়। আখুন্দজাদার অনুসারীদের জন্য এই বক্তব্য সুখকর হওয়ার কথা নয়।

[৭] আরেকটি গ্রুপ আনাস হাক্কানীর নেতৃত্বে হাক্কানী নেটওয়ার্ক। তার বাবা হাক্কানী নেটওয়ার্কের হয়ে সারা পৃথিবীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। হাক্কানী গ্রুপের সদস্যরা পরিস্কারভাবেই চান, সারা বিশ্বে ত্রাসের মাধ্যমে নিজ আদর্শ ছড়িয়ে দিতে। তালিবানের অপর দুই গ্রুপ, বিশেষত শিক্ষিত গ্রুপটির এটি পছন্দ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়