লিহান লিমা: [২] উচ্চমাত্রার বায়ু দূষণের মধ্যে অবস্থান শিশুকে স্থুল করতে পারে এবং তাদের হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায় বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে। এতে বলা হয়, শিশুর স্থুলতার অনেক কারণ থাকতে পারে কিন্তু এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে দূষিত বায়ু। আর স্থুল শিশুদের হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা ৭৯ শতাংশ বেশি।
[৩] সংস্থাটি বায়ু দূষণের সবচেয়ে বিপজ্জনক মাত্রা খুঁজে পেয়েছে ভারতের দিল্লীতে। অতিরিক্ত ওজন ও হাঁপানির সঙ্গে বায়ু দূষণের যোগসূত্র নিয়ে ভারতে করা এটিই প্রথম গবেষণা।
[৪] বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করেছিলেন যে দীর্ঘদিন বিষাক্ত বাতাসের সংস্পর্শে থাকার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হতে পারে। বিশেষ করে এটি শিশুদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
[৫] ফুসফুস কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং পুলমোকেয়ার রিসার্চ এন্ড এডুকেশনের গবেষনায় ১২টি স্কুলের ৩ হাজার ১৫৭ শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর দিল্লী, দক্ষিণ ভারতের শহর কোট্টায়াম এবং মাইসুরুর। দিল্লী ব্যতিত বাকি দুই শহরেরই বাতাস তুলনামূলকভাবে শুদ্ধ।
[৬] গবেষকরা দেখেছেন কোট্টায়াম ও মাইসুরুর ১৬.৪ শতাংশ শিশুর তুলনায় দিল্লীর শিশুদের ওজন বেশি (৩৯.৮ শতাংশ)। এই শহুরগুলোর বাতাসে বিপজ্জনক পিএম২.৫ এর আধিক্য পাওয়া গিয়েছে।
[৭] দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে একটি। প্রতিবছর সেখানে বাতাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে মান পর্যন্ত নিরাপদ মনে করা হয় তার চেয়ে ৯ গুণ বেশি খারাপ থাকে।
[৮] গবেষণায় আরো দেখা গেছে, কোট্টায়াম এবং মাইসুরুর তুলনায় দিল্লীর স্কুলের শিশুদের হাঁপানি এবং অ্যালার্জির উপসর্গ- যেমন চুলকানি, কাশি এবং ফুসকুড়ির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।