নুরনবী সরকার: [২] উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা অববাহিকায় আবারও প্লাবিত হয়েছে চরের নিম্নাঞ্চলগুলো।
[৩] শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৯৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে।
[৪] পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ব্যারাজ রক্ষায় খুলে দেয়া হয়েছে ৪৪টি জলকপাট। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে এমনটি ধারনা করা হচ্ছে। যেকারণে তিস্তা পাড়ের লোকজনদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
[৫] জানা যায়, তিস্তা ব্যরাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলও ফের ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে আবারও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, চরবৈরাতী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চোরাহা, দক্ষিণ বালাপাড়া, কুটিরপাড়, চর গোবরধন এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলপ্লাবিত হয়েছে।
[৬] দোয়ানী-ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আবারও বাড়তে থাকে তিস্তার পানি। শুক্রবার সকালে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে আসছে। পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। আরও কি পরিমান পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :