স্পোর্টস ডেস্ক: পুরো ম্যাচে ইতালি আধিপত্য করলো। আগে গোল করে জয়ের সুবাসও পাচ্ছিলো। ইঙ্গিত মিলেছিল বড় ব্যবধানে জয়ের। কিন্তু একের পর এক গোল মিসের কারণে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি রবার্তো মানচিনির দল। বুলগেরিয়া প্রতি আক্রমণ থেকে এক গোল শোধ দিয়ে সেই যে রক্ষণ জমাট রেখেছে, এরপর বাকী সময়টুকু ঠিকই রুখে দিতে পেরেছে আজ্জুরিদের। ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে।
ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সি-গ্রুপের ম্যাচে ইতালি ৪ ম্যাচে তিন জয় ও প্রথম ড্রতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। সমান ম্যাচে বুলগেরিয়া দ্বিতীয় ড্রতে দুই পয়েন্ট পেয়েছে।
স্তাদিও আর্তেমিও ফ্রান্সিতে স্বাগতিকদের একচেটিয়া প্রাধান্য ছিলো। বল দখলের পাশাপাশি একের পর এক আক্রমণ গড়ে বুলগেরিয়াকে তটস্থ রেখেছে। ম্যাচ ঘড়ির ১২ মিনিটে ইতালি সুযোগ পায়। তবে ইনসিনিয়ের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
তিন মিনিট পরই সমর্থকদের মুখে হাসি। ১৫ মিনিটে চিয়েসা গোল করেন। ডান প্রান্ত থেকে ঢুকে ইমোবিলের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে জোরালো শটে জাল কাঁপান চিয়েসা।
৩৫ মিনিটে ইমোবিলের জোরালো শট গোলকিপার কোনও মতে ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি।
রক্ষণ সামলে বুলগেরিয়া ৩৯ মিনিটে সুযোগ পেয়েই ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছেন। প্রতি আক্রমণ থেকে ডেসপোদভের এর নিচু ক্রসে আতানাস লিয়েভ প্লেসিং করে স্কোরলাইন ১-১ করেন।
৪৪ মিনিটে ইতালি এগিয়ে যেতে পারতো। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে ইনসিনিয়ে বক্সে ঢুকে বা পায়ের জোরালো শট নিলেও গোলকিপার পা দিয়ে রুখে দেন।
বিরতির পরও মানচিনির দলের একেচেটিয়া প্রাধান্য। কিন্তু কোনও সময় ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় আবার গোলকিপার জর্জগিয়েভ তেকাঠির নিচে দুর্বার থাকায় গোল পাওয়া হয়নি।
৫৯ মিনিটে ইনসিনিয়ের জোরালো শট বাইরের জাল কাঁপায়।
৬২ মিনিটে চিয়েসা বক্সে ঢুকে শট নিলেও গোলকিপার হাত দিয়ে প্রতিহত করেন। ৭৩ মিনিটে ইমোবিলের শট জর্জগিয়েভ রক্ষা করেন।
নিজেদের দর্শকদের সামনে তাই এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ইমোবিলদের। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট পাওয়াটা বুলগেরিয়ার জন্য বড় অর্জনই।
আপনার মতামত লিখুন :