শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:০২ সকাল
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আর্সেনিক প্রবণতা থেকে মুক্তি পেতে ৪৪ উপজেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ইউনিট স্থাপন

নিউজ ডেস্ক: উপকূলীয় এলাকার পানিতে লবণাক্ততা ও আর্সেনিক প্রবণতা ইত্যাদি সমস্যার কারণে ওই সব এলাকার মানুষের উচ্চরক্তচাপ, মহিলাদের গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা, কিডনি ও চর্মরোগ ইত্যাদিতে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ১০ জেলার ৪৪ উপজেলায় দুই লাখ ছয় হাজার ৮৭২টি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিট স্থাপনে খরচ হবে ৫২ হাজার টাকা। তবে প্রকল্পে প্রতি মাসে পরিবহন সেবায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রাক্কলন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ।নয়া দিগন্ত

প্রকল্প প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, ২০০৭ সালে সিডর এবং ২০০৯ সালে আইলার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর ফলে এখানে শুধু ভূ-উপরিস্থ নয় বরং ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরেও লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ে। দেশের ১৯ জেলাকে উপকূলীয় জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলা সমন্বয়ে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে পানযোগ্য পানিতে লবণাক্ততার গ্রহণযোগ্য মাত্রা পাঁচ শ’ পিপিএম। অথচ উপকূলীয় কিছু কিছু এলাকায় এর মাত্রা সর্বোচ্চ প্রায় তিনগুণ। ওই সব এলাকার মানুষ ওই পানিই পান করতেই বাধ্য হচ্ছে। কারণ অনেক এলাকায় মিঠা পানির উৎস নেই বললেই চলে। আবার কোথাও কোথাও মিঠা পানির উৎস অনেক দূরবর্তী স্থানে।

প্রকল্পটির অধীন জেলাগুলোর ইউনিয়ন পর্যায়ে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং স্থাপন করা হবে। এতে একটি ধারকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হবে। প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা। পরে এই পানি প্রাত্যহিক কাজ, এমনকি পানও করা হবে। লবণাক্ততাপ্রবণ এসব এলাকায় বৃষ্টির পানির এই ব্যবহার কিছুটা হলেও তাদের সুপেয় পানির অভাব মেটাতে পারবে। প্রকল্পটিতে প্রথম খরচ ধরা হয়েছিল ৪২০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আড়াই বছরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরিকল্পনা কমিশনের মূল্যায়ন কমিটির সভার (পিইসি) সুপারিশের আলোকে ডিপিপি পুনর্গঠন করায় ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়। এখন ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৬২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। যেসব জেলাকে চিহ্নিহ্নহ্নত করা হয়েছে সেগুলো হলো, গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।

প্রকল্পের খরচের হিসাবে দেখা যায়, দুই লাখ ছয় হাজার ৮৭২টি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ইউনিট স্থাপনে ব্যয় হবে ৯৩০ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতিটি ইউনিটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। আবার ক্যাচমেন্ট সংস্কার বা ফিল্টার প্রতিটিতে সাত হাজার টাকা। ফলে প্রতিটি ইউনিটের জন্য ব্যয় হবে ৫২ হাজার টাকা।
অন্যদিকে পরিবহনসেবা ক্রয়ের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এখানে প্রতি মাসে ব্যয় হবে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই ব্যয় নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রশ্ন। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কী ধরনের পরিবহনসেবা ক্রয় করা হবে, তা অবহিত করা উচিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে।

এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। তবে প্রকল্পে ব্যয়ের ব্যাখ্যা হিসেবে সমীক্ষা প্রতিবেদন সংযোজন করতে বলা হয়েছে। কারণ প্রথমে যখন প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হয় তখন ব্যয় ধরা হয় ৪০২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে প্রকল্প ব্যয় ও প্রকল্প এলাকা বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন করে এলাকা যুক্ত করে ব্যয় প্রায় সাড়ে পাঁচ শ’ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এটিও দেখা দরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়