রাফিউজ্জামান সিফাত: র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কৃত হয়েছেন বাংলাদেশের নারী ড. ফেরদৌসী কাদরী। র্যামন ম্যাগসেসেকে বলা হয় এশিয়ার নোবেল। দালাই লামা, সত্যজিৎ রয়, পণ্ডিত রবিশংকর, মহেশ্বতা দেবী, ড. ইউনূস প্রমুখ ব্যক্তিগণ বিভিন্ন সময় অতি সম্মানজনক এ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৫৮ সাল থেকে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার প্রদান চাল হলেও আমার জানা মতে, মাত্র বারোজন বাংলাদেশি এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সর্বশেষ র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কৃত হলেন ড. ফেরদৌসী কাদরী। কলেরা ও টাইফয়েডের টিকা তৈরিতে অবদান রেখে তিনি অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য এ বিজ্ঞানীকে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কৃত করা হয়। পত্রিকায় একটা নিউজ হয়েছে, টিভি স্ক্রিন স্ক্রলে একটা সংবাদ বুলেটিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাতে গোনা কয়েকটা পোস্ট। ব্যস। ড. ফেরদৌসী কাদরী নিয়ে আজ আর সাড়া শব্দ নেই। আর সাড়া শব্দ হবেও না। সোশ্যাল মিডিয়া আলোচনায় এ নারী বিজ্ঞানী চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর হারিয়ে গেলো। ড. কাদরী ও তার অসামান্য আবিষ্কারকে সম্মুখে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আর। মিডিয়ার আলোচনায় আজ middle figure তাতেই লাইট ক্যামেরা, তুমুল করতালি। বিপুল উৎসাহ। প্রশংসা, স্তূতি। একের পর এক লাইভ টেলিকাস্ট। ন্যাশনাল হেডলাইন। বাসার যে ছোট কন্যা সন্তানটা আজ এ দৃশ্যগুলো দেখছে সে হয়তো মনে মনে জানছে, জীবন রক্ষাকারী বিজ্ঞানী অপেক্ষা Don't love সব bitch. অনেক বেশি তেজের, সম্মানের, প্রশংসার, গৌরভের, তুমুল আকাক্সক্ষার। সে শিশুর চোখে মিডল ফিঙ্গার প্রদর্শনকারী আইডল। ভ্যাকসিন আবিষ্কারকারী বিজ্ঞানী তার চোখের সামনে নেই। আমি সেই ছোট কন্যা সন্তানটির জন্য দুঃখ অনুভব করছি। মা রে, আমরা তোকে সঠিক পথটি দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছি। আমাদের এ সচেতন অপরাধকে তোরা ক্ষমা করিস না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :