মেহেদী হাসান : [২] গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফকে এ নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
[৩] জানা যায় গত ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের একটি কক্ষের চুরির অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের গ্রুপে স্ট্যাটাস দেন ও সংবাদ প্রকাশ করেন দৈনিক ভোরের ডাক এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আলিফ।
[৪] চুরির অভিযোগকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন 'বিভ্রান্তিমূলক স্ট্যাটাস' উল্লেখ করে জানায়, উক্ত স্ট্যাটাসের কারণে সদ্য বিদায়ী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট শামস আরা খান শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
[৫] তবে একটা স্ট্যাটাসে কিভাবে শারীরিক নিপীড়ন করা সম্ভব সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি।এ বিষয়ে তিনি বলেন, "উপর থেকে সিদ্ধান্ত আসে। আমি শুধু স্বাক্ষর করি।"
[৬] এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, "ঐ হলে একাধিকবার চুরির অভিযোগ এসেছে। এবং একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।একটা হলে বারবার এমন অভিযোগ এলে তার দায়ভার প্রভোস্ট এড়াতে পারেন না। অথচ তিনি বারবার এসব চুরির দায়ভার শিক্ষার্থীদের উপর চাপানোর চেষ্টা করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক কম্পিউটার চুরি হয়েছে।
[৭] বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যমকর্মী আর.এস. মাহমুদ হাসান বলেন, "একজন গণমাধ্যমকর্মী চুরির অভিযোগ এসেছে বলে স্ট্যাটাস দিলে এবং সংবাদ প্রকাশ করলে সে চুরির ঘটনার তদন্ত বা বিচার না করে উল্টো গণমাধ্যমকর্মীকে হয়রানি করার মাধ্যমে চুরির ঘটনাগুলোকে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।
[৮] এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট শামস আরা খান বলেন, "আমাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে পোস্ট দেয়া হয়েছে।"
[৯] এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :