মো. আল-আমিন: [২] শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আনন্দ বাজার সংলগ্ন ছাত্তার মোল্লা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে লীজ নিয়ে জমিতে করেছেন ফলের বাগান। যেখানে রয়েছে লেবু ও মাল্টার গাছ। সারিবদ্ধ এই বাগানের একদিকে যেমন ঝুলছে মাল্টা অপরদিকে ঝুলছে লেবু । অন্যের জমি লিজ নিয়ে আজ যেন এই ব্যবসায়ীর একটি বড় স্বপ্ন পূরণের বাস্তবতা। ৬০ শতক জমিতে রয়েছে মাল্টা, লেবু এবং কমলা।
[৩] বাগান করে যেমনটি তিনি সফল, তেমনি এলাকায় অন্যদের মধ্যেই বাগান করার আাগ্রহ বাড়িয়েছেন এই ছাত্তার মোল্লা। স্থানীয়দের নজর কেরেছে তার এই বাগান। জমিতে লাগানো ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত এই ছাত্তার মোল্লা। যদিও বাগানটি দেখা শুনার জন্য রাখা হয়েছে চারজনকে। তারপরও থেমে নেই নিজেও। আজ নিজের স্বপ্ন পূরণে যেন আনন্দিত ছাত্তার মোল্লা। স্থানীয় এলাকাবাসী সহ দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন তার এই বাগান দেখতে। ছাত্তার মোল্লার সফলতার গল্প শুনে আজ অনেকইে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বাগান করার।
[৪] তিন বছর আগে টিভি দেখার মাধ্যমে ছাত্তার মোল্লা জানতে পাড়েন মাল্টা চাষের বিষয়টি। পরে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে শুরু করা হয় তার ফলের বাগান। শুরুর দিকে প্রায় ২৮০ শতাংশ জমিতে ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে এই বাগানের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। বাগান করার ২ বছরের মধ্যেই খরচের চেয়ে বেশি আয় হয় এই ছাত্তার মোল্লার। বাজারে এক বছরে ৮ লাখ টাকার মতো বিক্রি করেন সেই বাগানের ফল। অল্প খরচেই যেন অধিক লাভ করেছেন তিনি। তিনি পেশায় একজন মিষ্টি ব্যবসায়ী ।
[৫] আজ নিজ এলাকায় একজন সফল বাগান চাষি বলে পরিচতি লাভ করেছেন মিষ্টি ব্যবসায়ী ছাত্তার মোল্লা। বর্তমানে ৮০০ শতাংশ জমিতে রয়েছে ৬ হাজার লেবু গাছ ,২৮০ শতাংশ জমিতে রয়েছে ১ হাজার মাল্টা গাছ।
[৬] তিনি এ বছর লেবু বিক্রি করেছেন প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা, মাল্টা বিক্রি শুরু করবেন আগামী সপ্তাহ থেকে, অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো ফলন হয়েছে বলে আশাবাদী ১৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘড়ে আসবে। মিষ্টি ব্যবসায়ী ছাত্তার মোল্লার সফলতায় বাগান করার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রাও। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :