লিহান লিমা: [২] গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষের ওপর চালানো ৫ মাসের গবেষণায় বাস্তবিক প্রমাণে দেখা গিয়েছে মাস্ক সামাজিক পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস করতে সক্ষম। এনবিসি নিউজ
[৩]বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬০০টি গ্রামে এই গবেষণা চালানো হয়। যা কিনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সার্জিকাল মাস্কের কার্যকারীতা নিয়ে চালানো সবচেয়ে বৃহত্তর গণ-গবেষণা। এর আগে ল্যাবরেটারি এবং হাসপাতালে চালানো একই ধরণের গবেষণায় দেখা গিয়েছে মাস্ক কোভিডের সংক্রমণ হ্রাসে সাহায্য করে, নতুন গবেষণায় বাস্তবিকই মাস্কের কার্যকারীতার ফলাফল উঠে এসেছে।
[৫]গবেষণার সহ-লেখক এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লরা কোং বলেন, এই বাস্তব গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যদি মানুষ মাস্ক পরে তবে সেটি কাজ করে। টিকা হাতে পাওয়া পর্যন্ত যে দেশগুলোর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এই দেশগুলোর জন্য এই গবেষণা বিশেষভাবে কার্যকর।
[৬]গবেষণার সহ-লেখক ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক মুসফিক মোবারক বলেন, তিনি এবং তার সহকর্মীরা ৩ লাখ ৪২ হাজার ১২৬ জনের ওপর গবেষণা চালান এবং মাস্কের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রামে প্রচারণা চলানো হয়। প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ব্যক্তিকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করা হয়।
[৭]বিজ্ঞানীরা দেখেন, ১০ সপ্তাহের ব্যবধানে মাস্ক পরা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্পটি শুরুর পর থেকে গবেষকরা দেখেন, করোনা ভাইরাসের লক্ষণ ১১.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মুসফিক বলেন, মাস্ক পরা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে করোনা সংক্রমণ ১০ শতাংশ কমবে। কল্পনা করুন যদি এটি ১০০ ভাগ বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ সবাই মাস্ক পরে তবে পরিস্থিতি ১০০ ভাগই বদলে যাবে।