শিরোনাম
◈ এবার পরনারীর সঙ্গে সম্পর্কে নিয়ে মুখ খুললেন আবু ত্বহা নিজেই! (ভিডিও) ◈ ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু, রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছে : আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাহী বি চৌধুরীর নামে মামলা ◈ চাকসু নির্বাচনে কর্মকর্তার সই ছাড়াই ৪০০ ব্যালট বাক্সে! ◈ আন্তর্জাতিক প্রী‌তি ম‌্যা‌চে আর্জেন্টিনা জিত‌লো ৬ গো‌লে  ◈ ইসরা‌য়ে‌লের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে ইতালিতে বি‌ক্ষোভ ◈ শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে ◈ জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ◈ চাকসু নির্বাচন: কালি উঠে যাওয়া নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:২৮ দুপুর
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] টিকার এসএমএস দ্রুত পাওয়ানোর কথা বলে হাতিয়ে নিতো অর্থ, গ্রেপ্তার ৪

মাসুদ আলম, সুজন কৈরী : [২] বৃহস্পতিবার র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দ্রুত এসএমএস প্রাপ্তির প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো একটি চক্র। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল এলাকা থেকে চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নুরুল হক, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও দুলাল মিয়।

[৩] তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে করোনা টিকার দ্রুত এসএমএস প্রাপ্তির কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় গ্রেপ্তারকৃতরা। সাধারণত বিদেশগামীদের টিকা গ্রহণে বাধ্যবাধকতা ও তাড়া থাকে। তাদের টিকাগ্রহণে এই তাড়ার সুযোগে চক্রটি অর্থ আত্মসাতের সুযোগ নেয়। এখন পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।

[৪] মঈন বলেন, প্রবাসীদের টিকা দেওয়ার জন্য সরকার সাতটি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে। চক্রটি প্রবাসীদের টার্গেট করেই সেসব হাসপাতালের সামনে ঘুরাফেরা করতে থাকে। টিকা পেতে বিভিন্ন তাড়ার কারণে প্রবাসীরা নির্ধারিত হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। আর তখনই প্রতারক চক্রটি দ্রুত ম্যাসেজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর অনেকে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাসেজ পেয়ে যেতেন, তখন এই প্রতারকরা নিজেরা ক্রেডিট নিতেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তদবির করে দুই-একটি ম্যাসেজের দেওয়ার ব্যবস্থা করত। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

[৫] তিনি আরও বলেন, যারা মেসেজ পেতেন তারা সাধারণত অভিযোগ করেননি। কিন্তু টাকা দিয়েও ম্যাসেজ না পেয়ে অনেকে অভিযোগ করেছেন। চক্রের মূলহোতা নুরুল হক। সাইফুল ও ইমরান হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ভিকটিমদের দ্রুত ম্যাসেজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। এরপর রাজি হলে তাদেরকে নুরুল হকের কাছে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করা হতো। এর ওপর নির্ভর করে কতদিনের মধ্যে ম্যাসেজ যাবে তা জানাতে ভিকটিমদের দুলালের কাছে নিয়ে যাওয়া হতো।

[৬] মঈন বলেন, নুরুল দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন, ইমরান একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরিরত। সাইফুল রমনা এলাকার চা বিক্রেতা। তিনি একসময় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুলাল মিয়া একটি হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে কর্মরত। তারা মুগদা, শাহবাগ, রমনা, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, মহাখালীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় ছিল।
গ্রেপ্তার দুজন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত থাকার সুবাদে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়