ইমরুল শাহেদ: করোনা মহামারির এই সময়ে শাপলা মিডিয়ার পর নিয়মিত প্রযোজক হিসেবে ডিপজলের নামটি উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি প্রায় প্রতি মাসেই কোনো না কোনো ছবির কাজ শুরু করছেন। পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর বলেছেন, এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ‘আক্রোশ’ নামে একটি নতুন ছবি শুরু করবেন। এ ছবিতে ডিপজলের বিপরীতে কাজ করবেন শিরীন শিলা। এর আগে করেছেন ‘ঘর ভাঙ্গা সংসার’ নামে আরেকটি ছবি। এই ছবিতেও ডিপজলের বিপরীতে রয়েছেন শিরীন শিলা। পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর এই প্রযোজকের আরো কয়েকটি ছবি নির্মাণ করেছেন।
বাজেট কমের এসব ছবিগুলোর কোনোটিই এখনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। ডিপজল নিজেও একজন প্রদর্শক। তার সিনেমা হলেও এসব ছবির কোনোটি এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। প্রশ্ন এখানে নয়, প্রযোজক ও অভিনেতা হিসেবে ডিপজল তার অবস্থানে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অমি বনি কথাচিত্র কখনো লো-বাজেটের ছবি নির্মাণ করেনি। এখন করছে। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ছবিতেই কাজ করেছেন এদেশের প্রথম সারির তারকারা। প্রতিটি ছবি ব্যবসা সফলও হয়েছে। কিন্তু এখন তার ছবিতে যেসব নায়িকারা কাজ করছেন তারা কেউ প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে পরিচিত নন। প্রদর্শকদের কাছে তাদের চাহিদাও নেই। তারকা কথাটি বাজারজাত করা হয় বাণিজ্যিক কারণে।
পশ্চিমা ভোগবাদী সমাজে তারকা কথাটি পণ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। বিনিয়োগ এবং লাভের বিষয়টি যেখানে আছে, সেক্ষেত্রে এদেশের সমাজে সেটা ভিন্ন কিছু নয়। ডিপজল নিজেও একজন তারকা। বাজার ও পরিস্থিতির বিবেচনায় তিনি হয়তো ছোট বাজেটের ছবি নির্মাণ করছেন। এই পরিস্থিতিকে তিনি তারকা তৈরির জন্য ব্যবহার করতে পারতেন। দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির কোনো নায়ক-নায়িকার চাইতে নতুনদের নিয়ে কাজ করেও নতুন তারকা সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারতেন ডিপজল। তিনি যদি এই উদ্যোগ নেন তাহলে চলচ্চিত্রশিল্প উপকৃতই হবে।
আপনার মতামত লিখুন :