শরীফ শাওন: [২] বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের দাবি, সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমপ্লেক্সকে ইউএসজিবিসি কর্তৃক সার্টিফাইড এলইইডি (লিডারশীপ ইন এনার্জি এন্ড এনভাইরনমেন্টাল ডিজাইন) স্থাপনা হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। এই ভবনে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী আলো (এনার্জি সেভিং লাইট), বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখা, সৌর বিদ্যুৎ, জ্বালানী সাশ্রয়ী পানি-ভিত্তিক তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং স্যুয়েরেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) থাকবে। দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডাবল-গ্লেজড গ্লাস থাকবে। ভবনে পানি ব্যবস্থাপনায় পানি সাশ্রয়ী ব্যবস্থা থাকবে। এতে এফএসসি সার্টিফাইড কাঠের ফার্নিচার, পরিবেশবান্ধব ভিওসি-ফ্রি পেইন্ট ব্যবহৃত হবে।
[৩] মঙ্গলবার বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ জানায়, শুধুমাত্র জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা নয়, টেকসই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিল্পটির বিকাশে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে তৈরি পোশাক শিল্পখাত। উৎপাদনের পরিবেশগত প্রভাব কমাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে পোশাক শিল্পের মুখপাত্র সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
[৪] প্রধান কার্যালয়টি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পূর্নভাবে চালুর প্রত্যাশা জানিয়ে বলা হয়, কার্যালয়টি নান্দনিক সবুজ ভবনে রূপ দেয়া এবং শিল্পের প্রধান সংস্থা হিসেবে পোশাক শিল্পে সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য কাজ করছে এবং করবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম একটি কম গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরনকারী দেশ যা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান অনুঘটক। যদিও বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্থ দেশ। ক্রমবর্ধমান কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তার ভয়াবহ পরিনতি থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কোন ভৌগলিক সীমারেখায় আবদ্ধ থাকে না। তাই আমরা যতই কম কার্বন নিঃসরণ করি না কেনো এর ধ্বংসাত্বক প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব না।
[৫] বাংলাদেশকে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক সবুজ কারখানার আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সবুজ শিল্পায়নে নেতৃত্ব দেয়ায় বিজিএমইএ ‘২০২১ ইউএসজিবিসি লিডারশীড এ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা পেয়েছে। বিজিএমইএ জাতিসংঘের জলবায়ুু পরিবর্তন বিষয়ক উদ্যোগ, ‘ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রি চার্টার ফর ক্লাইমেট একশন’ এর সাথে যুক্ত হয়েছে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে জিএইচজি (গ্রীন হাউজ গ্যাস) নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য রয়েছে।
[৬] বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে যারা নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিজিএমইএ আগষ্ট মাসে বৃক্ষরোপণ প্রচারণা শুরু করেছে। ১৫ আগষ্ট বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দসহ সভাপতি ফারুক হাসান গাজীপুরের স্প্যারো অ্যাপারেলস কারখানায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর সূচনা করে উত্তরায় নবনির্মিত বিজিএমইএ এর প্রধান কার্যালয়ে গাছ লাগানোর মাধ্যমে এই কর্মসূচী শেষ করেন। বাংলাদেশের সবুজায়নে আপামর জনগনকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করার জন্য বিজিএমইএ সভাপতি চট্রগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় বৃক্ষরোপণ করেন। জাতির পিতা সমৃদ্ধশালী ও সবুজ বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং স্বাধীনতার পরপরই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর সূচনা করেছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সামনে আসার অনেক পূর্বেই তিনি পরিবেশ রক্ষায় গাছের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন।