ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি, দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাহার করে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি, আল জাজিরা
[৩] সোমবার পেন্টাগনের জরুরী সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি এক ঘোষণায় বলেন, মার্কিন বাহিনীর চূড়ান্ত প্রস্থানের মাধ্যমে বিশ্বের দীর্ঘতম যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ ও রক্তাক্ত একটি ইতিহাসের পরিসমাপ্তি হলো।
[৪] ওই ঘোষণায় ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আজ এখানে মার্কিন সেনাসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে এসেছি। ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের শেষ বিমানটি (সি-১৭) কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করেছে।
[৫] ঘোষণার এক পর্যায়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের এই শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আজকের এই শেষ ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে অনেক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা জড়িত, যারা আজ এই ভ্রমণের সাক্ষি হতে পারতো তারা অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই।
[৬] এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরেক বিবৃতিতে বলেন, বিপদজনক এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে সকল সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য দেশটিতে দায়িত্ব পালনকারী মার্কিন বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।
[৭] বিবৃতিতে বাইডেন আরো বলেন, গত ১৭ দিন আমাদের সৈন্যরা মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বিমান পরিচালনা করেছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন নাগরিকের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগান মিত্রদের সরিয়ে নিয়েছে মার্কিন বাহিনী। অতুলনীয় সাহস, পেশাদারিত্ব এবং সংকল্প ছাড়া এটি সম্ভব ছিলোনা।
[৮] মঙ্গলবার তিনি জাতির উদ্দেশ্যে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ভাষণ দেবেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
[৯] এদিকে আফগানিস্তান থেকে চূড়ান্তভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর বিজয় উল্লাস করেছে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাধারী তালিবানরা। দীর্ঘ ২০ বছরের দাসত্ব শেষে মার্কিন বাহিনীর অসহায় আত্মসমর্পণকে আফগানিস্তানের বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করছে গোষ্ঠীটি।
সম্পাদনা: আখিরুজ্জামান সোহান
আপনার মতামত লিখুন :