শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ০৩:৫৮ রাত
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ০৩:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদ্মায় ভয়াবহ ভাঙন, ঝুঁকিতে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট

নিউজ ডেস্ক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর পানি দৌলতদিয়া প্রান্তে কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। যে কারণে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে দৌলতদিয়া ৪ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায়। গতকাল সোমবার সকাল থেকে পদ্মার তীব্র স্রোতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। আকস্মিক শুরু হওয়া এই ভাঙনে মুহূর্তেই বিলীন হয়েছে দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন ছিদ্দিক কাজীর পাড়া জামে মসজিদসহ তিনটি বাড়ির ভিটেমাটি ও ৩০ মিটার এলাকা। আতঙ্কে লোকজন সরিয়ে নিচ্ছেন ঘরবাড়ি। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাটসহ সহস্রাধিক পরিবার। ইত্তেফাক

ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি সরানোর কাজে ব্যস্ত, কেউ ঘরের খুঁটি খুলছে, কেউবা অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে ঘরের চাল। নিমিষেই রাক্ষুসী পদ্মার হিংস্র থাবায় একে একে গ্রাস করছে বসতভিটা। দীর্ঘদিনেও স্থায়ী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত বর্ষায় ভয়াবহ নদী ভাঙনের ক্ষত কাটতে না কাটতেই আবার শুরু হয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। তবে লঞ্চ ও ফেরিঘাটের ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকাতে নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।

সরেজমিনে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার আগ্রাসি ভাঙনের কবলে পড়ে ৪ নম্বর ফেরিঘাটসংলগ্ন ছিদ্দিক কাজীর পাড়া জামে মসজিদটি নদীগর্ভে বিলিন হতে চলেছে। ইতিমধ্যে মসজিদের সঙ্গে থাকা ইমামের পাকা ঘরটিসহ পাশের হান্নান কাজী, ছিদ্দিক কাজী ও মান্নান কাজীর ভিটেমাটি নদীতে চলে গেছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মসজিদের অর্ধেকটা নদী গর্ভে চলে যায়। আতঙ্কে বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে আরো ২০-২৫টি পরিবার। বসতবাড়ি হারিয়ে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন ছিদ্দিক কাজীর পাড়া, লঞ্চঘাট এলাকার মজিদ শেখের পাড়া এলাকার ২০-২৫টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে আর্তনাদ করছে। এ ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও শুধুমাত্র দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট রক্ষা করতে ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যবস্থাপনার কারণেই আধাঘন্টার ভাঙনে মসজিদসহ বেশ কয়েকটি ভিটেবাড়ি নিমিষেই পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মা পাড়ের আরো শতাধিক স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে। লঞ্চঘাট এলাকায় কিছু জিওব্যাগ ফেলা হলেও সবচেয়ে ভাঙনপ্রবণ মজিদ শেখের পাড়া এলাকায় এ বছর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে লঞ্চঘাট, ফেরিঘাটসহ পুরো এলাকা।

শুধু গত বছরের ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকাতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হলেও কার্যত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এ প্রসঙ্গে দৌলতদিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফ হোসেন বলেন, ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাটসহ সহস্রাধিক পরিবার। জরুরিভিত্তিতে এ নিয়ে কাজ করা দরকার।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়