মহসীন কবির: [২] রাজধানীর কলাবাগানে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে হত্যার অভিযোগে দায়ের মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। ডিবিসি টিভি
[৩] মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়া, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। মামলার অন্য দুই আসামি সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে।একই সঙ্গে তাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে। সময় টিভি
[৪] এ মামলায় মোট আসামি আট জন। রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আসামিদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান, মো. শেখ আবদুল্লাহ জোবায়ের ও আসাদুল্লাহকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মো. জুনাইদ আহমদ।
[৫] এর আগে গত ২৩ আগস্ট আসামিপক্ষের অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ায় ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেন। মামলার অপর আসামিরা হচ্ছে— আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। আসামিদের মধ্যে চার জন পলাতক এবং চার জন কারাগারে রয়েছে।
[৬] ২০১৯ সালের ১২ মে জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম।
[৭] ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে লেক সার্কাসের বাড়িতে ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :