আনিস তপন: [২] রোববার (২৯ আগস্ট) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যোগ দিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এ কথা বলেন।
[৩] বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ডুয়েট শাখা এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
[৪] তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে এ দেশের সম্ভাবনাময় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করে তোলেন।
[৫] প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা-স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।
[৬] প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
[৭] সংগঠনটির এ দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে দেশ ও জাতির জন্য গৌরবময় অসংখ্য অর্জন। সমৃদ্ধ সেসব অর্জন জাতিকে দিয়েছে নতুন পথের ঠিকানা। স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের যেভাবে হলো, সে শব্দ প্রাপ্তিতে সংগঠনটির অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে।
[৮] তিনি আরও বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হতে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঝাপিয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের সঙ্গে তাই ছাত্রলীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আপনার মতামত লিখুন :