খালিদ আহমেদ: [২] প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, এভাবে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এখন ভয় হলো এরা দেশকে অর্থশূণ্য করে ফেলে কি না? এ মামলায় সাজা বাড়ানো উচিত।

[৩] রোববার (২৯ আগস্ট) ক্যাসিনো পরিচালনায় জড়িত চক্রের সদস্য শাকিল খানের জামিন আবেদনের শুনানিকালে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

[৪] আদালতে শাকিল খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও গোলাম আব্বাস চৌধুরী। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

[৫] শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, এই আসামি অ্যাপস তৈরি করে। সে ফ্রিল্যান্সার। অ্যাপস তৈরি করে বিক্রি করে। আইনে এর অনুমোদন আছে।

[৬] তখন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, ভাল কথা, আইনে অনুমোদন আছে। কিন্তু আপনি এরকম বাজে অ্যাপস, খারাপ অ্যাপস বানাবেন কেন? ভালো অ্যাপস বানাতে পারেন না?

[৭] জবাবে আইনজীবী বলেন, গ্রাহকরা যেভাবে চাহিদা দেয় সেভাবেই তৈরি করা হয়। আইনেতো এটা বানানোর ক্ষেত্রে বাধা নেই।

[৮] এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, এটাতো মারাত্মক অভিযোগ। এভাবে দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। জবাবে আইনজীবী বলেন, এর মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর। এই আসামি এক বছরের বেশি কারাগারে। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, এ মামলায় সাজা বাড়ানো উচিত। এরপর আদালত জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন।

[৯] গতবছর ২৭ জুলাই রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনায় জড়িত চক্রের সদস্য শাকিল খান (২২) ও যুবাইদ হাসান রচিকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, ৮টি মোবাইল ফোন, ২১টি সিম কার্ড ও ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামিরা প্রতারণামূলক অ্যাৎেপস-এর মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া ব্যবসা পরিচালনা করে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তারা ফেসবুক পেজ এবং বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের বিকাশ ও নগদ এজেন্ট নম্বর প্রদান করে ওইসব নম্বরের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেছে। চক্রটি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই টাকা ই-ওয়ালেট মাধ্যমে ক্যাসিনো প্ল্যাটফমের মূল হোতা আরতাম ও শাখাওয়াত হোসেন শাওনের কাছে পাচার করেছে। কয়েক কোটি টাকা পাঠিয়েছে। নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।