আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]তলিয়ে যাচ্ছে সাগরের বুকে। [৩] এখনও এর কোনো নাম দেয়া হয়নি। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সমুদ্রের পানি শিগগিরই একে গ্রাস করে নিতে পারে। জুলাইয়ে অনুসন্ধান কাজে গিয়ে গবেষকরা এই ভূভাগের সন্ধান পান। প্রথমে তারা মনে করেছিলেন গ্রিনল্যান্ডের সর্ব উত্তরে অবস্থিত উদাক দ্বীপে পৌঁছেছেন। এই দ্বীপটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্ব উত্তরের দ্বীপ হিসেবে স্বীকৃত। এএফপি
[৪] কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির ভূ-বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিজ্ঞানী মর্টেন র্যাস এই মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে জানানো হয়েছিলো, আমার জিপিএসে কিছুটা ভুল হচ্ছে। কারণ, জিপিএস আমাদেরকে এমন ধারণাই দিচ্ছিল যে, আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম উদাক দ্বীপে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা পৃথিবীর সর্ব উত্তরে একটি নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করে ফেলেছি।
[৫] একেবারে উত্তর মেরু বিন্দু থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে উদাক দ্বীপ। অন্যদিকে নতুন যে দ্বীপ আবিষ্কার করা হয়েছে, তা উদাক থেকে ৭৮০ মিটার উত্তরে। অর্থাৎ এটিই এখন বিশ্বের সর্ব উত্তরের ভূভাগ। র এক বিবৃতিতে কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি বলেছে, এটিই গ্রিনল্যান্ডের সবচেয়ে উত্তরের ভূ-ভাগ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩০ থেকে ৬০ মিটার উচ্চতা এর। ফলে, অল্প সময়ের মধ্যে সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে এই দ্বীপ। কেউ বলতে পারেন না, দ্বীপটি কত সময় টিকে থাকবে। নিয়ম বলে, নতুন কোনো শক্তিশালী ঝড় হলেই দ্বীপটি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।