শাহনেওয়াজ নাজিম: [২] ফটিকছড়িতে কয়েকবছর থেকে সর্তানদীর ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ বসতবাড়ি ও কৃষি জমি। সর্তার করাল গ্রাসে ভিটে মাটি হারানো পরিবারগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এখনো হুমকির মুখে রয়েছে আরো কয়েকশ বাড়িঘর-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-মসজিদ।
[৩] জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পার্বত্য এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে ফটিকছড়ির খিরাম ও ধর্মপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তানদীর তীব্র স্রোতে সহায় সম্বল ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার। বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খিরাম ইউনিয়নের মগকাটা, হচ্ছারঘাট ও ধর্মপুর ইউনিয়নের কমিটিরহাট ও পূর্ব ধর্মপুর এলাকার সর্তার ভাঙ্গনের কবলে পরে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে চরম উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করে সর্তানদীর পাড়ের মানুষ।
[৪] স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে এই এলাকাগুলোর প্রায় চার শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। খালেরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ একর কৃষি জমি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে এবং প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সবই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
[৫] নদীপাড়ের বাসিন্দা শিরু আক্তার ও মনোয়ারা বেগম বলেন, কয়েকবছর আগে বাড়িসহ বসতভিটা খালে হারিয়ে গেছে। এখন অন্যের জায়গায় বসবাস করছি। তাও এখন হুমকির মুখে।
[৬] ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, দিদার ও শাহাবুদ্দিন জানান, আমাদের এলাকায় খালের ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিগত দিনে অন্তত চারশ বাড়ি খালে বিলীন হয়ে গেছে। এখনই খাল ভাঙন ঠেকাতে না পারলে অন্যান্য স্থাপনাগুলোও বিলীন হয়ে যাবে।
[৭] এ বিষয়ে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর কাইয়ুম জানান, পূর্ব ধর্মপুরে কয়েক বছর ধরেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলেও পানির শ্রোতে আবারও ভেঙে যায়। তবে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর আবেদন করেছি। একবার এসে মাফযোগ করে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজ বা খাল ভাঙন ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
[৮] এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থবরাদ্দ পেলে যত দ্রুত সম্ভব নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :