শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২১, ০৬:০৭ বিকাল
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০২১, ০৭:৩৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] জিয়াউর রহমান কবর বিতর্ক: বিবিসি বাংলার খবরে যা বলা হয়েছে

শিমুল মাহমুদ: [২] ১৯৮১ সালের ৩০ শে মে ভোররাতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন একদল সেনা সদস্যের হাতে। ঘটনার পর দিন সকালে সার্কিট হাউজে গিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর রেজাউল করিম রেজা।

[৩] তিনি বলেন, কর্নেল মতিউর রহমান আমাকে ডাকেন। ডেকে বলেন যে জিয়াউর রহমান ডেডবডিটা কিছু ট্রুপস সঙ্গে নিয়ে সার্কিট হাউজ থেকে নিয়ে পাহাড়ের ভেতরে কোথাও কবর দেবার জন্য। আমি তখন তাকে বললাম যে আমাকে অন্য কাজ দেন। তারপর উনি মেজর শওকত আলীকে ডেকে ওই দায়িত্ব দিলেন।

[৪] তখন আমাকে ডেকে বললেন যে তুমি এদের সঙ্গে থাক এবং সঙ্গে যাও। গিয়ে সার্কিট হাউজে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সৈন্যদের নিয়ে আসবে। সার্কিট হাউজে যাবার পর আমি সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠি। উঠে দেখি সিঁড়ি বারান্দায় একটা ডেডবডি কম্বল দিয়ে ঢাকা আছে। পাশে একজন পুলিশ দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কার ডেডবডি? সে বললো, এটা রাষ্ট্রপতির। আমি বললাম কম্বলটা খোল। সেটা খোলার পর দেখলাম তার মাথাটা। কাছাকাছি দূরত্বেই পড়ে ছিল কর্নেল এহসান এবং ক্যাপ্টেন হাফিজের মৃতদেহ।

[৫] ঘটনাস্থল থেকে মেজর রেজাউল করিম রেজা চট্টগ্রাম সেনানিবাসে চলে যান। অন্যদিকে মেজর শওকত আলী তার দল নিয়ে জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ কবর দিতে নিয়ে যায়।

[৬] জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সময় চট্টগ্রাম মিলিটারি একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন বিএনপি'র প্রয়াত সিনিয়র নেতা ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ। মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর আগে বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ১লা জুন জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ খুঁজতে বের হয়েছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সিপাহী, একটি ওয়্যারলেস সেট এবং একটি স্ট্রেচার।

[৭] তারা কাপ্তাই রাস্তার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলেন। একটি অনুমানের ওপর ভিত্তি করে নতুন কবরের সন্ধান করছিলেন। তখন একজন গ্রামবাসী এসে তাদের জিজ্ঞেস করেন যে তারা কী খোঁজ করছেন?

[৮] ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ এস গ্রামবাসীকে জিজ্ঞেস করেন, সেনাবাহিনীর সৈন্যরা সেখানে কোনো ব্যক্তিকে সম্প্রতি দাফন করেছে কিনা? তখন সে গ্রামবাসী একটি ছোট পাহাড় দেখিয়ে জানালেন কয়েকদিন আগে সৈন্যরা সেখানে একজনকে কবর দিয়েছে। তবে সে গ্রামবাসী জানতেন না যে কাকে সেখানে কবর দেয়া হয়েছে।

[৯] গ্রামবাসীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হান্নান শাহ সৈন্যদের নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন নতুন মাটিতে চাপা দেয়া একটি কবর। সেখানে মাটি খুঁড়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং আরো দুই সেনা কর্মকর্তার মৃতদেহ দেখতে পান তারা।

[১০] তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ তুলে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আনা হয়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ ঢাকায় পাঠানো হয়। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।

https://www.bbc.com/bengali/news-44299721

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়