জায়েদুল আহসান পিন্টু: [১] কার্যত দুর্নীতি দমন কমিশন প্রশাসন ক্যাডারেরই এক্সটেনশন হতে চলেছে। [২] দুদকের বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামো বিশ্লেষণ করলে এই চিত্র স্পস্ট হয়ে উঠে। [৩] বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যানসহ তিনজন কমিশনারের মধ্যে দুজনই সাবেক সচিব। তারা দীর্ঘদিন প্রশাসন ক্যাডারে ছিলেন। [৪] দুদকের একজন সচিব আছেন। তিনিও প্রশাসন ক্যাডারের। [৫] কমিশনের ৮টি মহাপরিচালক পদের ৬ জনই প্রশাসন ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে দুদকে যোগ দিয়েছেন। একজন জুডিশিয়াল সার্ভিসের। অপর একজনের পদ শূন্য। অর্থাৎ দুদকে মহাপরিচালক পদে তাদের নিজস্ব কেউই নেই। [৬] দুদকে পরিচালকের পদ আছে ৩১টি। তাদের মধ্যে ১০টি পদে প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে দুদকে এসেছেন। একজন পুলিশ ক্যাডারের। ১৫ জন দুদকের নিজস্ব। [৭] স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে দুদক দরকারমতো জনবল নিয়োগ করতে পারে। [৮] নিয়মটা হলো নিয়োগ হবে সরাসরি, পদোন্নতি, প্রেষণে বদলি ও চুক্তিভিত্তিক। [৯] দেখা যাচ্ছে নীতি নির্ধারণী পদগুলোতে দুদক নিজস্ব কর্মকর্তাদের প্রাধান্য না দিয়ে প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে নিয়োগ দিচ্ছে। [১০] সমস্যাটা হচ্ছে প্রশাসন ক্যাডারের কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়লে সেটা তারা ঠিকমতো আমলে নিচ্ছেন না। [১১] সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাইরেও প্রশাসন ক্যাডার দুর্নীতি দমনে বাধা কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :