সমীরণ রায়: [২] শুক্রবার (২৭ আগস্ট) যমুনা গ্রুপের পরিচালক (কমার্শিয়াল) শামসুল হাসান বলেন, ইভ্যালিতে যমুনা গ্রুপের ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের যে খবর এসেছিল তা আদৌ চূড়ান্ত হয়নি। আর্থিক বিবরণী বুঝতে এখনো অডিট চলছে। সেসব কাজ শেষ হওয়ার আগে হ্যাঁ বা না কিছু বলার সময় এখনো আসেনি। আর ইভ্যালির আগের ব্যবসার দায় নিতেও রাজি নই।
[৩] শামসুল হাসান বলেন, তাদের সঙ্গে বিনিয়োগ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। তাদের কাগজপত্রগুলো অডিট করিয়ে দেখছি। পজিটিভ কিছু থাকলে সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু আমরা চাইনি এ পর্যায়ে গণমাধ্যমে কিছু আসুক। কারণ বলার মতো কোনো অগ্রগতি আসলে হয়নি।
[৪] গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইভ্যালির পক্ষ থেকে জমা দেওয়া দায়-দেনার হিসাবে দেখা যায়, দুই লাখ ১৪ হাজার গ্রাহক ইভ্যালির কাছে পণ্য কেনার জন্য বুকিং দিয়েছেন। গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত বুকিং বাবদ গ্রাহকরা ইভ্যালির কাছে ৩১০ কোটি টাকা পাবেন।
[৫] গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়ে যথা সময়ে পণ্য সরবরাহ না করা কিংবা অর্থ ফেরত না দেওয়া ও পণ্য সরবরাহকারী মার্চেন্টদের বকেয়া পরিশোধ না করায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালির বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।
[৬] আলোচিত ওই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের চেয়ারাম্যানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। তাদের দেশত্যাগে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই জুলাইয়ের শেষে যমুনা গ্রুপের এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ পাওয়ার খবর দেওয়া হয় ইভ্যালির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
[৭] এতে বলা হয়, প্রাথমিক বিনিয়োগ হবে ২০০ কোটি টাকা, ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে যমুনা গ্রুপ।
আপনার মতামত লিখুন :