খালিদ আহমেদ :[২] মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া চৌরাস্তায় শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এনটিভি
[৩] নিহতের নাম জুলহাস হাওলাদার (৩৫)। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা ও শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা ওই যুবককে পেটায়।
[৪] খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে যুবককে উদ্ধার করে। পরে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৫] নিহত জুলহাস উপজেলার কুমারভোগ পদ্মা সেতু পুনর্বাসন কেন্দ্রের হাসান হাওলাদারের ছেলে। তিনি একজন অটোরিকশা চালক। বিজনেস ষ্ট্যান্ডার্ড
[৬] আটকরা হচ্ছেন- পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কর্মী ও শ্রমিক সেলিম, রাব্বি, তপু, আল-আমিন, আরিফ, আব্দুল মান্নান, ইস্রাফিল, রুবেল ও সুশান্ত।
[৭] লৗহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, নিজ বাড়ির অদূরে মাওয়া চৌরাস্তার পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভেতর গেলে জুলহাসকে চোর সন্দেহে আটক করে নিরাপত্তা কর্মী ও শ্রমিকরা। দেশরূপান্তর
[৮] তিনি বলেন, এ সময় ১০-১২ জন মিলে ওই যুবককে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়। খবর পেয়ে স্বজনরা যুবককে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৯] শ্রীনগর-লৌহজং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, পদ্মা সেতুর এফ ফোর পিলারের নিচে যুবককে পেটায় নিরাপত্তা কর্মীরা। এতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
[১০] তিনি বলেন, ঘটনা জানার পরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত নয় কর্মীকে আটক করতে সক্ষম হন তারা।
[১১] নিহত যুবকের বোন শাহানা বলেন, ‘আমার ভাই পদ্মা সেতুর প্রকল্পের ভেতর কীভাবে গেল তা জানি না। আমরা খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে রড দিয়ে পেটানো হয়েছে।’
[১২] তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের বলেন- আমার ভাই নাকি চুরি করেছে। পরে আমরা ভাইকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। এ সময় সেখানকার ডাক্তার আমার ভাই মারা গেছেন বলে জানান।’
[১৩] শাহানা আরও বলেন, ‘আমার ভাই চোর না, অটোরিকশা চালায়। আর চুরি করলেই কি পিটিয়ে হত্যা করতে হবে!’
আপনার মতামত লিখুন :