মোস্তাফিজুর রহমান: [২] এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন জনে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান মৌসম।
[৩] শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম (৩৫), সুমন (৪০) বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
[৪] এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় রিনা বেগমের চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে।
[৫] নিহতের শফিকুল ইসলাম ৮৫ শতাংশ, সুমন ( ৪০) ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে এক শিশুসহ ৪জন।
[৬] মৃত শফিকুল মিরপুর -১১ নম্বর স্থায়ী বাসিন্দা মৃত ফুলমিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ার ব্যবসা করতেন।
ঢাকার নবাবগঞ্জের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে তিনি। বর্তমান মিরপুর ১১নম্বরে থাকতেন।
[৭] দগ্ধদের মধ্যে শফিকুল ইসলামের (৩৫) শরীরের ৮৫ শতাংশ, সুমনের (৪০) ৪৫ শতাংশ, রওশন আরার (৭০) ৮৫ শতাংশ, রিনার (৫০) ৭০ শতাংশ, নওশীনের (৫) ১৫ শতাংশ, নাজনীনের (২৫) ২৭ শতাংশ এবং রেনুর (৩৫) শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। সবারই শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে।
[৮] বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে মিরপুর ১১ নম্বরে ৬তলা ভবনের নিচ তলায় গ্যাস লাইন মেরামতের সময় আগুন জ্বালিয়ে চুলা পরীক্ষার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান ভবনের মালিক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের নিজ বাড়িতে এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস ঠিকমতো আসছিল না। ৩ দিন আগেও গ্যাস লাইন মেরামত করা হয়। গ্যাস লাইনের সমস্যা দেখা দিলে মিস্ত্রী গ্যাস লাইন ঠিক করে পরীক্ষামূলক চুলায় আগুন ধরিয়ে পরীক্ষা করার সময় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই ৭ জন দগ্ধ হন।
আপনার মতামত লিখুন :