শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫২ রাত
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাবজি-ফ্রি ফায়ার চলছে, বন্ধের উপায় কি?

নিউজ ডেস্ক : পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না অনলাইন গেম পাবজি ও ফ্রি ফায়ার। প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে বাংলাদেশে এখনো মোবাইল ফোন থেকে গেম দুটি খেলা যাচ্ছে। ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ছাড়াই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবহারকারীরা গেম দুটি খেলতে পারছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেবারে পাবজি-ফ্রি ফায়ার বন্ধ সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং। পুরোপুরি গেম দুটি বন্ধ করে দেয়ার সক্ষমতা বিটিআরসি’র নেই। গেম দুটির লোকাল সার্ভার থাকতে পারে। যার মাধ্যমে এখনো বাংলাদেশে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। গতকাল সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখার সময় বেশ কয়েকজন পাবজি-ফ্রি ফায়ার গেমারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা তাদের মোবাইল ফোনে গেম দুটি খেলতে পারছেন। মানবজমিন

ভিপিএন ছাড়াই গেম দুটি খেলা যাচ্ছে। তবে বুধবার গেম বন্ধের খবর পাওয়ার পর কিছু সময় মোবাইলে তারা অ্যাপসে ঢুকতে পারছিলেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবহারকারী বলেন, বাংলাদেশে একটা ভার্সন বন্ধ করা হয়েছে। আমরা গ্লোবাল ভার্সনে গেম খেলি। এরকম আরও ছয়টি ভার্সন আছে। সেগুলো তো বন্ধ হয়নি। ইউজাররা সেগুলো খেলবে এখন থেকে।

এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিটিআরসি’র নির্দেশনা পাওয়ার পরই তারা বাংলাদেশে পাবজি-ফ্রি ফায়ার বন্ধ করেছেন।

তারপরও কীভাবে বাংলাদেশে গেম দুটি খেলা যাচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (সমন্বয়-পিএসটিএন ও গেটওয়ে) সাইদুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের সিস্টেম থেকে গেম দুটির অ্যাকসেস বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু সম্ভবত ওই দুটি গেমের লোকাল সার্ভার থাকায় এখনো সেগুলো চালু আছে। এখন কীভাবে গেম দুটি চালু আছে সে বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি।

ভিপিএন দিয়ে পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেললে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব জানতে চাইলে সাইদুর রহমান বলেন, দেশে ভিপিএন বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাহলে প্রযুক্তিগতভাবে অন্যরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অন্য কী পদ্ধতিতে গেম দুটিকে চূড়ান্তভাবে ব্যান করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে। তবে গেমগুলো কিভাবে চূড়ান্তভাবে বন্ধ হবে সে বিষয়ে তিনি কোনো ধারণা দিতে পারেননি। তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষক তানভীর হোসেন জোহা মানবজমিনকে বলেন, পাবজি-ফ্রি ফায়ার পুরোপুরি বন্ধ করার প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জ বিটিআরসি কীভাবে মোকাবিলা করবে সেটাই দেখার বিষয়।

গেম দুটি বাংলাদেশে কীভাবে চালু আছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিপিএন দিয়ে পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেলা যায়। অ্যাপগুলোতে বিল্ট ইন ভিপিএনও থাকে। সুতরাং এগুলো বন্ধ করা সহজ নয়। ভিপিএন চালু করে পাবজি খেললে গেমের সকল সুবিধা পাওয়া যায় না বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গেমার। এই প্রক্রিয়ায় গেম খেললে অনেক সময় আইডিও ব্লক হতে পারে বলে জানান তিনি।

এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৬ই আগস্ট ক্ষতিকারক অনলাইন গেমের সব ধরনের লিংক বা ইন্টারনেট গেটওয়ে তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের দেয়া রুলে দেশের অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ার, লাইকি, বিগো লাইভের মতো গেম ও অ্যাপের সব ধরনের লিংক বা ইন্টারনেট গেটওয়ে নিষিদ্ধ বা অপসারণ বা ব্লক করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আদালত অনলাইন গেমঅ্যাপ নিয়মিত তদারকি এবং এ বিষয়ে নির্দেশিকা (গাইডলাইন) তৈরি করতে বিশেষজ্ঞ ও কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল দিয়েছেন। গত ২৪শে জুন মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি দায়ের করা হয়েছিল।

বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নির্দেশে এরইমধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে নির্দেশ দেয়ার পর তারা বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি ক্ষতিকর অনলাইন প্ল্যাটফরম নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে। তিনি জানান, পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধে হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। আর বাকি যেগুলো আছে সেগুলো ক্ষতিকর কী না তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেসব গেম পুরোপুরি বন্ধ সম্ভব নয় সেগুলোর কার্যালয়কে বন্ধের জন্য চিঠি দেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়