শরীফ শাওন: [২] বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত দ্বি-পাক্ষিক বানিজ্য ব্যবস্থায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষ করে পোশাক ও বস্ত্রখাতে দ্বি-পাক্ষিক বানিজ্য সুফল ভোগ করতে পারে।
[৩] বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিজিএমইএ অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সৌজন্য সাক্ষাতকালে ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের কাঁচামাল বিশেষ করে মেশিনারিজ, কটন, ফেব্রিক্স, রাসায়নিক উপকরণ ও রং আমদানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে। অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার। ভারতের স্থানীয় বাজারের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
[৪] বিজিএমইএ জানায়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে হাই-ভ্যালুড পোশাক তৈরি এবং পণ্য উন্নয়ন ও উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবনী সক্ষমতার বিকাশে মনোযোগ দিচ্ছে। ভারতের আছে ডিজাইনার এবং প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের বিশাল গোষ্ঠী। জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময় থেকে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
[৫] এসময় তিনি ভারতীয় হাই কমিশনারকে সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য বেনাপোলসহ স্থল বন্দরগুলোর মাধ্যমে বানিজ্য সহজীকরনের অনুরোধ জানান। ব্যবসার স্বার্থে ভারতে ভ্রমণ ভিসা সহজতর করা, ফ্লাইট চালু, পোশাক ও বস্ত্রখাতে জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ে সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।
[৬] এ সময় বিজিএমইএ এর সহ সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আসিফ আশরাফ, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, তানভীর আহমেদ, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. বিনয় জর্জ ও বানিজ্যিক প্রতিনিধি ড. প্রম্যেশ বাসাল উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :