মোস্তাফিজুর রহমান: [২] পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১ নম্বরে একটি ৬তলা ভবনের নিচতলায় গ্যাস লাইন লিকেজ মেরামতের সময় আগুন জ্বালিয়ে চুলা পরীক্ষা করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে শিশু, নারী, মিস্ত্রি ও ভাড়াটিয়াসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে ।
[৩] দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার দিবাগত রাত সোয় ১১টায় মিরপুর-১১ নম্বরের সেক্টর-১১, রোড-১১, ব্লক-সি ঢাকা’র ৬তলা ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমাদের নিজ বাড়িতে এক সপ্তাহ যাবৎ গ্যাস ঠিকমত আসছিল না। ৩ দিন আগেও গ্যাস লাইন মেরামত করা হয়। আজকেও গ্যাস লাইনের সমস্যা দেখা দিলে মিস্তিরি গ্যাস লাইন ঠিক করে পরীক্ষামূলক চুলায় আগুন ধরিয়ে পরীক্ষা করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুন জ্বলে ৭ জন দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ভর্তি করা হয়।
[৪] তিনি আরো বলেন,কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন দগ্ধদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
[৫] দগ্ধরা হলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসা রফিকের মা গৃহকর্তি রোওশনারা বেগম (৭০) ও রফিকের ছোট মা রিনা বেগম (৫০) দগ্ধ রিনা বেগমের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫), মিস্ত্রি সুমন (৪০), নিচতলার ভাড়াটিয়া রেনু বেগম (৩৫), ভবনের পাশেই পথচারী শিশু নওশীন (৫) ও শিশুর মা নাজনীন (২৫)।
[৬] ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধদের সবারই অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে তারা গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :