শরীফ শাওন: [২] অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করে উচ্চশিক্ষায় যুগোপযোগী শিখন-শিক্ষণ পদ্ধতির নীতিমালা প্রণয়নে সশরীর ও অনলাইন শিক্ষার সমন্বয়ে নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালাটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর বাংলাদেশ’।
[৩] বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ভার্চুয়াল সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করে জানানো হয়, কোন শিক্ষার্থী সশরীর পাঠদানের সুযোগ বঞ্চিত হলে রেকর্ডেড ক্লাস থেকে লেখাপড়ার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। কার্যকর প্রতিকারমূলক শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের সুযোগ থাকবে।
[৪] দেশীয় বিশ্ববদ্যিালয়কে ব্লেন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়নে প্রস্তুতি গ্রহণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নের পরামর্শ দেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। তিনি বলেন, এই নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ক্লাসরুম শিক্ষা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। শিক্ষার্থীরা কার্যকরভাবে শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এটি শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠদানে আনন্দ পাবে। অংশগ্রহণমূলক শিক্ষণ পক্রিয়ায় তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। ব্লেন্ডেড লার্নিং পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তাদেরকে চাকরি উপযোগী করে গড়ে তুলবে।
[৫] এ পদ্ধতি চালু থাকলে ভবিষ্যতে যে কোন বিপর্যয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা চলমান রাখা সম্ভব হবে জানিয়ে বলেন, মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা প্রণয়ন দেশের জন্য এটি মাইলফলক এবং এটি উচ্চশিক্ষার জন্যও একটি বড় অর্জন।
আপনার মতামত লিখুন :