রুবেল মজুমদার :[২] মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: গোলাম মাহবুব খাঁন খন্দকার ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন। এ সময় আদালত ইশতিয়াককে গ্রেপ্তার করতে দাউদকান্দি থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।
[৩] এলাকাবাসী জানায়, খুনি মোশতাকের পিতা হযরত খন্দকার কবির উদ্দিন আহামেদসহ পুর্ব পুরুষেরা ছিলেন আলেম ও হাক্কানী পীর। খন্দকার কবির উদ্দিনের পাঁচ ছেলে এবং পাঁচ মেয়ে। মৃত্যুকালে কবির উদ্দিন বিশাল সম্পত্তি রেখে গেছেন। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কবির উদ্দিনের কিছু সম্পত্তি কল্যান মুলক কাজের জন্য ট্রাস্ট্রের নামে লিখে দেয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ারিশান সুত্রে বংশের সকল সদস্যরা বাকি সম্পত্তির মালিক হলেও কবির উদ্দিনের সপ্তম সন্তান মোশতাকের একমাত্র ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মেদ বাবু বংশের সকল সদস্যদের সম্পত্তি জোরপুর্বক বেদখল করে রেখেছেন। শুধু তাই নয় খন্দকার কবির উদ্দিনের নামে ট্রাষ্টের স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হয়ে বাবু ওই স্টেটের কার্যালয়ে নিজের এবং স্ত্রী সন্তানদের ছবি টানিয়ে রেখেছেন। ট্রাস্ট এবং দাদার সম্পত্তি দখলে রাখতে মোশতাক পুত্র এলাকায় একটি বাহিনী গঠন করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
[৪] কানাডায় বসে ওই বাহিনী নিয়ন্ত্রন করছেন তিনি। এরই মাঝে বেশ কিছু সম্পত্তি জাল দলিল এবং ভূয়া স্বাক্ষরে বিক্রয় করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
[৫] সম্পতির ন্যায্য হিস্যা এবং স্টেটের উত্তরাধিকারীর অংশিদারিত্ব পেতে কবির উদ্দিনের ওয়ারিশ খন্দকার জাবির আহাম্মেদ সারোয়ার গত বছরের শেষের দিকে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
[৬] মামলার বাদী খন্দকার জাবির আহাম্মেদ সারোয়ার অভিযোগ করে বলেন, খুনি মোশতাকের ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আমাদেরকে ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছেন।
[৭] এ বিষয়ে দাউদকান্দি থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা যতটুকু জানি মামলায় অভিযুক্ত আসামী খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু বিদেশে পালাতক আছেন। তার পরেও গ্রেফতারী পরোয়ানার কপি হাতে পেলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :