রাশিদ রিয়াজ : আফগানিস্তানের পলাতক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির বিরুদ্ধে ১৬৯ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে সে অর্থ ফেরত দিতে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে দাবি জানিয়েছেন রিপাবলিকানরা। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে এটর্নি জেনারেলের কাছেও দাবি জানিয়েছেন। এর আগে মিডিয়ায় খবর প্রকাশ পায় যে মার্কিন সহায়তার অর্থ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ঘানি তার দেশ ত্যাগ করেছেন। আরটি
এ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনকে হাউস কমিটি অন ওভারসাইট এন্ড রিফর্ম এবং দি সাবকমিটি অন ন্যাশনাল সিকিউরিটির কাছে রিপাবলিকানরা এক চিঠিতে এ দাবি জানিয়ে বলেন, বাইডেন প্রশাসনের উচিত প্রেসিডেন্ট ঘানি যে দুর্নীতর মাধ্যমে মার্কিন সহায়তার অর্থ নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন তার একটা বিহিত করা। তারা বলেন প্রেসিডেন্ট ঘানি যে অর্থ নিয়ে পালিয়েছেন তা দেশটির নাগরিকদের উন্নয়নে সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি’তে প্রকাশিত এক খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপাবলিকান প্রতিনিধি জেমস কোমার ও গ্লেন গোর্থম্যান বলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ১৬৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে পালিয়েছেন বলে তা নিশ্চিত করেছে তাজিকিস্তানের আফগান রাষ্ট্রদূত। রিপাবলিকরা বিষয়টি নিশ্চিত করতে মার্কিন বিচার বিভাগের প্রতি দাবি জানিয়েছে। তারা বলেন যদি সত্যিই ঘানি এ অর্থ নিয়ে পালিয়ে থাকেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সব ধরনের ক্ষমতা ব্যবহার করে এ অর্থ উদ্ধার এবং প্রেসিডেন্ট ঘানিকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘানির আত্মসাৎকৃত অর্থ জব্দ করা উচিত। মার্কিন আইনপ্রণেতারা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে এ রহস্যের সমাধান করা একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ ঘানির এধরনের পদক্ষেপগুলো ‘সম্ভবত’ তালেবানদের দেশ দখলকে ত্বরান্বিত করেছিল, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আটকে পড়া সেনা ও আফগান সহযোগীদের বের করার জন্য বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। কাবুলে রুশ দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্ট ঘানি হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিছু অর্থ স্থান সংকুলান না হওয়া তা টারমার্কে ফেলে রেখেই চলে যান। তবে ঘানি তা অস্বীকার করে বলেছেন আফগানিস্তানে রক্তপাত এড়াতেই তিনি দেশ ছেড়েছেন এবং অর্থ নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
আপনার মতামত লিখুন :