মারুফ মালেক: [২] ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৫ সালে অক্টোবরে ওয়ান ফার্মার ওষুধ বাজারে আসে। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কোম্পানির উদ্ভোধন করেন। আমরা ভাগ্যবান খুব দ্রুত রপ্তানিতে যেতে পেরেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে এন্টিবায়োটিকের তালিকায় প্রথম সারিতেই ওয়ান ফার্মার নাম রয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, ওয়ান ফার্মা লিমিটেড কোম্পানির মানসম্পন্ন ওষুধ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে রপ্তানি শুরু হয়েছে। গুনগত মানের ওষুধের জন্য সারাবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে।
[৪] কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে দেশে শতভাগ ওষুধ আমদানি হতো। বর্তমানে দেশের ৯৮ শতাংশ ওষুধের চাহিদা পুরণ করছে দেশিয় কম্পানিগুলো। বাংলাদেশের ওষুধ আন্তর্জাতিক বাজারে ইন্ডিয়া ও চায়নার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। বর্তমানে দেশে কাচামাল উৎপাদন হচ্ছে না। ইন্ডিয়া ও চায়না যেসব কাচামাল উৎপাদন করছে, সেগুলো আমদানি করতে হচ্ছে। এতে করে দেশে ওষুধ উৎপাদন অনেক ব্যয়বহুল হচ্ছে।
[৫] তিনি আরো বলেন, সরকার যদি দেশে কাচামাল উৎপাদনের জন্য বিশেষ নজর দেয় এবং ঔষধ কোম্পানিগুলো যদি কম সুদে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ নিয়ে কাচাঁমাল আমদানি করতে পারে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পরিচয় হবে ওষুধ উৎপাদনের দেশ হিসেবে। বর্তমানে বাংলাদেশের ঔষধ ১৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তিনি মনে করেন, ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে বেশি রপ্তানি করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে অধিক লাভবান হবে।
আপনার মতামত লিখুন :