মাসুদ রানা, ফেসবুক থেকে, আফগান শরণার্থীদের স্বদেশ ত্যাগ প্রশ্নে এ্যামেরিকার নেতৃত্বধীন পাশ্চাত্যের এবং তালেবানদের দৃষ্টভঙ্গির মিল-অমিল নিয়ে আমি যে হাইপোথেসিস গত ২২শ অগাস্ট পৌস্ট করেছি, আজ ২৪শে অগাস্টে প্রচারিত আন্তর্জাতিক সংবাদ-মাধ্যমগুলোর সংবাদসমূহের সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে বাস্তবতা সে-দিকেই যাচ্ছে। লক্ষ করার বিষয় তিনটিঃ
(১) গতকালই তালিবানেরা বলেছে যে ৩১শে অগাস্টের মধ্যে এ্যামেরিকান বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ না করলে, এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। আজ এ্যামেরিকার প্রেসিডেণ্ট জৌ বাইডেন বলেছেন, ৩১শে অগাস্টের মধ্যেই ইভাকুয়েইশন সম্পূর্ণ করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এ্যামেরিকান নাগরিকদের ইভাকুয়েইট করাই হচ্ছে এ্যামেরিকার টপ প্রায়োরিটি।
(২) আজ থেকে পাশ্চাত্যের দেশগুলো বলতে শুরু করেছে যে, আফগান শরণার্থীদের গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সিকিউরিটি কনসার্ণ রয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে, সিকিউরিটি ইস্যুতে ইতিপূর্বে পাশ্চাত্য থেকে ফেরত পাঠানো অনেক আফগান বর্তমান শরণার্থীদের সাথে মিশে প্রত্যাবর্তন করেছে।
(৩) আজ তালিবানেরা শিক্ষিত আফগানদের প্রতি আবেদন জানিয়েছে দেশ ত্যাগ না করে যাওয়ার। এমনকি তারা এ্যামেরিকার কাছে অনুরোধ করেছে ডাক্তার ও ইঞ্জিনীয়ারদের মতো দক্ষ আফগানদের যেনো তার না নিয়ে যায়। সর্বশেষ খবরে শুনতে পাচ্ছি, ওরা আফগান নাগরিকদের এ্যায়ারপর্টে যাওয়া অনুমোদন করছে না। উপরের তিন বিন্দুকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করলে বিষয়টি এই দাঁড়াচ্ছে যে, পাশ্চাত্যে আফগান শরণার্থীর বাধাহীন প্রবাহ অনুমোদিত হবে না এবং তালিবানেরা শিক্ষিত আফগানদের তীব্র প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে এবং করবে। অর্থাৎ, আফগানদের পাশ্চাত্যে শরণার্থী হওয়ার প্রশ্নে পাশ্চাত্য ও তালিবান উভয়ের অভিন্ন অবস্থান -- তারা পাশ্চাত্যে না যাক।
২৪/০৮/২০২১
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড
আপনার মতামত লিখুন :