শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১১:০৫ দুপুর
আপডেট : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১১:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তালেবানের শাসনের অনিশ্চিত আফগান গণমাধ্যমের ভাগ্য

লিহান লিমা: [২] তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে পালানোর চেষ্টা করা কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে রয়েছেন শতশত সাংবাদিক। তালেবান গণমাধ্যমের ওপর আঘাত না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফ্রান্স২৪

[৩]কারণ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের শাসনে কোনো আফগান গণমাধ্যমই ছিলো না। তারা টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং বিনোদনের সব মাধ্যমগুলোতে নিষেধাজ্ঞারোপ করেছিলো। কিছু ইলেকট্রনিক পণ্যকে বেআইনি বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো। যারা টিভি দেখতে তাদের সেট ভেঙ্গে দেয়া সহ তাদের শাস্তি দেয়া হতো। ওই চার বছর আফগানিস্তানে কেবলমাত্র একটিই রেডিও স্টেশন ছিলো, ‘ভয়েস অব শরিয়া’, তারা তালেবানের বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডাড এবং ইসলামী প্রোগ্রামিং সম্প্রচার করতো।

[৪]২০০১ সালে তালেবানের পতনের পর দেশটির গণমাধ্যম আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। মার্কিন সমর্থিত সরকারের অধীনে আফগানিস্তানে বেসরকারী টিভি, রেডিও নেটওয়ার্কসহ আফগান মিডিয়া খাতের ব্যাপক বিকাশ ঘটে। শুধুমাত্র খবরই নয় এই চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচার করা হয়, সিনেমা, সোপ অপেরা, ট্যালেন্ড হান্ট শো এবং মিউজিক ভিডিও। তালেবানের সময় জনজীবন শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্র থেকে বিছিন্ন থাকা নারীদের মিডিয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। সারা দেশে শত শত নারী পর্দায় এবং পর্দার পেছনে সাংবাদিক, প্রযোজক, উপস্থাপক এবং অভিনয়শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। কয়েক ডজন আফগান সাংবাদিক বিদেশী মিডিয়ার জন্যও কাজ করেছেন।

[৫]জাতীয় প্রেস ফেডারেশনের বরাত দিয়ে ওয়াচডগ রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) জানিয়েছে, আফগানিস্তানে এখন ৫০টির বেশি টিভি চ্যানেল, ১৬৫টি রেডিও স্টেশন এবং কয়েক ডজন প্রকাশনা করেছে। ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যম, বিশেষ করে স্মার্টফোনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি আরো বিস্তৃত হয়েছে।

[৬]কাবুলের পতনের পর দোহা এবং আফগানিস্তানের তালেবান কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে এবং সাংবাদিকদের হয়রানি বা ক্ষতি করা হবে না। বিষয়টি স্পষ্ট করতে তালেবানের এক কর্মকর্তা একজন নারী সাংবাদিকে টিভি সাক্ষাতকার দেন। সেখানে নারীর অধিকার এবং সাধারণ ক্ষমাসহ নানা ঘোষণা দেয়া হয়।
[৭]কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে কয়েক ডজন টিভি এবং রেডিও আউটলেট সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে অথবা তালেবান জঙ্গীরা এসব ব্রডকাস্টিংগুলোকে জব্দ করেছে। শীর্ষ মুখপাত্রের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তালেবান জঙ্গীরা সম্প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে সাংবাদিকসহ সমালোচকদের তল্লাশি চালাচ্ছেন।

[৮]আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় জাউজান প্রদেশের স্থানীয় রেডিও স্টেশন সালাম ওয়াতান্দার সোমবার বলেছেন, স্থানীয় তালেবান অফিসের পর্যালোচনার পর তাদের বিষয়বস্তু সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হবে। গত সপ্তাহেই আফগানিস্তানের রাষ্ট্রায়াত্ত ব্রডকাস্টার এরটিএ-এর একজন উচ্চপদস্থ নারী সাংবাদিক বলেন, ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন হয়েছে বলে তাকে অফিস থেকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। শবনম ডওরান বলেন, আমাদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে।

[৯]অনেক আফগান সাংবাদিক আত্মগোপনে আছেন বা দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন। বিদেশী গণমাধ্যমের জন্য কাজ করা বিপুল সংখ্যাক সাংবাদিক দেশ ছাড়তে পারলেও স্থানীয় সাংবাদিকরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন। রোববার আফগানিস্তান ছাড়া প্রবীণ সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গিয়েছে। আমার স্বপ্ন এবং আকাঙ্খাকে হত্যা করেছি। এটি আমার জীবনের একটি মর্মান্তিক দিন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়