রাশিদ রিয়াজ : ইরান জানিয়েছে, তালেবানের অনুরোধে তারা জ্বালানি তেল পাঠাচ্ছে আফগানিস্তানে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রকাশ্যে তেল রপ্তানি শুরু করেছে ইরান। ডন
মার্কিন বাহিনী দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে এখন বেশ অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম প্রতি টন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯শ মার্কিন ডলারে। খুব শিগগির আফগানিস্তানে সরকার গঠন করতে যাওয়া তালেবানদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তেহরান এরই মধ্যে স্থলপথে দেশটিতে তেল রপ্তানি শুরু করেছে। ইরানের তেল-গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র হামিদ হোসেনি মিডিয়াকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আফগানিস্তানে বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তেলের মূল্য যাতে না বাড়াতে পারে, এ জন্য তালেবান ইরান থেকে তেল আমদানি শুরু করেছে।
এদিকে রুশ বার্তা সংস্থা আরটি জানিয়েছে আমদানির ওপর ৭০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ইরান আফগানিস্তানে তেল রপ্তানি শুরু করেছে। ইরানের তেল, গ্যাস এবং পেট্রোকেমিক্যাল প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স ইউনিয়ন জানিয়েছে তালেবানদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে ইরান দেশটিতে তেল রপ্তানি শুরু করতে পারে এবং তাতে কোনো অসুবিধা নেই। রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে নিরাপত্তার অভাবে ইরান এধরনের তেল রপ্তানি থেকে বিরত ছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে নগদ ডলার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভ আফগানিস্তানের সাড়ে ৯ বিলিয়ন ডলার আটক করেছে। এরফলে ডলারের অভাবে তেল আমদানি করা যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্যে খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জালানি সহ খাবারের দামও বাড়তে শুরু করেছে। তবে ইরান তেল রপ্তানি শুরু করায় আফগান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তা সাহায্য করবে। একই সঙ্গে আফগান কর্তৃপক্ষ তেহরানের কাছে আফগান সীমান্ত খোলা রেখে বাণিজ্য চালু রাখার আবেদন জানিয়েছে। তেহরান এ আবেদনে সাড়া দিয়ে আফগানিস্তানের সীমান্তে স্থলবন্দরগুলো চালু রেখেছে। এরফলে আফগানিস্তানে ইরানের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় আফগানিস্তানে তেল ছাড়াও অন্যান্য পণ্য রপ্তানির সুযোগ লুফে নেবে তেহরান। গত মে মাস পর্যন্ত ইরান তার প্রতিবেশিদেশগুলোতে ৪ লাখ টন জালানি তেল রফতানি করেছে বলে জানিয়েছে পেট্রোভিউ।
আপনার মতামত লিখুন :