ইমরুল শাহেদ: তালেবানরা দখল নিয়েছে আফগানিস্তানের। তাতে সেখানে নারী স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে বলা হয়েছে। তালেবানরা দেশটিত শরীয়া আইন চালু করবে, সেটা তারা চূড়ান্ত করেছে। এক সময় শরণার্থী হিসেবে ভারতে চলে এসেছেন ওয়ারিনা হোসেন এবং একটা স্থান করে নিয়েছেন মুম্বাই চলচ্চিত্রে। তিনি ‘দাবাং ৩’ ‘৯৯ সংগস’ ও ‘লাভরাত্রী’ ছবিতে অভিনয় করে বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন। কিন্তু চলচ্চিত্রে স্থান করে নেওয়ার আগে শরণার্থী হিসেবে চরম উদ্বেগে কেটেছিল তার দিনগুলো। আফগান মডেল ওয়ারিনাক বলিউড এমনভাবে আপন করে নিয়েছে যে, তাতে তিনি বিদেশে রয়েছেন, এই অনুভূতিটা দীর্ঘদিন তাড়া করে বেড়ায়নি তাকে। বর্তমানে তালেবান রাজত্বে তার মতো করুণ পরিস্থিতির মুখোমুখি যে শত শত মেয়েকে হতে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রথম সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন ওয়ারিনা।
কলকাতার আজকাল অনলাইনে ওয়ারিনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, একসময় তালেবানের আতঙ্কে তার পরিবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। কোনও মতে পালিয়ে চলে এসেছিলেন ভারতে। তারপর এখানেই বেড়ে ওঠা এবং বলিউডে সালমান খানের হাত ধরেই পা রাখা। তবে এই মুহূর্তে তালেবানের ভয়ে যেভাবে দেশ ছেড়ে কোনও মতে সকলে পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন, তা দেখেই অতীত মনে পড়ে গিয়েছে তার। কাবুলের সেই সুন্দর, মনোরম পরিবেশের কথা মাঝে মাঝে মনে পড়ে ওয়ারিনার। একসঙ্গে আত্মীয়রা মিলে বেড়াতে গেলেই আনন্দ মুহূর্তগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার। ওয়ারিনা জানিয়েছেন, গত ২০ বছর যে আফগানিস্তানে মেয়েরা প্রাণের ভয় ছাড়াই নিজের দেশে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পেরেছে, তারাই এখন দরজা বন্ধ করে ঘরবন্দি।
তালেবান শাসনে আগের মতো কখনই আফগানিস্তানে গণতন্ত্র বজায় থাকবে না। আস্তে আস্তে বাড়বে আরও শরণার্থীর সংখ্যা। অকালেই প্রাণ হারাবেন বহু গুণী মানুষ। নিজের দেশেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে বেঁচে থাকবেন মহিলারা। কোনও স্বাধীনতাই থাকবে না তাদের। ওয়ারিনা জানান, এত শরণার্থীর একসঙ্গে কোনও দেশেই জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সকল রাষ্ট্রনেতাদের কাছে অনুরোধ করেছেন অভিনেত্রী, যাতে এই অসহায় মুহূর্তে আফগানদের কেউ ফিরিয়ে না দেন। এক কোণায় ঠায় দিয়েই প্রাণে বাঁচবেন শত শত আফগান।
আপনার মতামত লিখুন :