শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ০১:২৩ রাত
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ০১:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পায়রাতেও হবে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল

নিউজ ডেস্ক: গ্যাস সংকট কাটাতে মহেশখালীর পর এবার পায়রাতেও ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির জন্য দুটি টার্মিনাল বানানো হবে। বাংলা ট্রিবিউন

রাষ্ট্রীয় কোম্পানি নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং বেসরকারি কোম্পানি সামিট পাওয়ার এলএনজি টার্মিনাল দুটি নির্মাণ করবে বলে জানা গেছে।

ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দুটির ক্ষমতা হবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। পটুয়াখালী থেকে একটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। খুলনা পর্যন্ত নির্মিত পাইপলাইনটি জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এলএনজি টার্মিনাল দুটিকে সংযুক্ত করবে। এতে করে দক্ষিণ পশ্চিমের জেলাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ সহজ হবে।

জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনে টার্মিনাল দুটি বানানো হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় নীতিগত সম্মতি দিয়েছে।

মন্ত্রণালয় সুত্রগুলোর বলছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে গ্যাসের ঘাটতি প্রকট আকার নেবে। এখনই উদ্যোগ না নিলে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এজন্য নতুন করে আবারও এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ঘাটতি শুরুর আগেই প্রকল্প দুটির কাজ শেষ হবে।

এনডব্লিউপিজিসিএল সূত্র বলছে, পায়রাতে তাদের ৩৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রটি আমদানি করা গ্যাস দিয়ে চালানো হবে। তবে সহসাই কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না।

এর বাইরেও কোম্পানিটি খুলনায় একটি ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এনডব্লিউপিজিসিএল-এর চাহিদা মিটিয়ে বাকি গ্যাস তারা পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি করবে। অন্যদিকে সামিটের টার্মিনালের পুরো গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনডব্লিউপিজিসিএল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ খোরশেদুল আলম বলেন, ‘কাজটি আমরাই যে করবো তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সরকার দুটি এলএনজি টার্মিনাল করতে যাচ্ছে। চাহিদার কারণে পায়রাতেই করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র বলছে, পায়রাতে নাব্যতা সংকটের কারণে বন্দরের আশেপাশে টার্মিনাল নির্মাণ করা সম্ভব নয়। বন্দর জেটি থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে সাগরের মাঝে থাকবে টার্মিনাল দুটি। সেখান থেকে সাগরের মাঝে পাইপলাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

বর্তমানে মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। প্রতিটি টার্মিনালে এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তরের ক্ষমতা রয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সর্বোচ্চ ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলা বলছে, গত ১৮-১৯ আগস্ট দেশে এলএনজি সরবরাহ হয়েছে ৭১১ মিলিয়ন ঘনফুট। ওই সময়ে দেশীয় গ্যাস সরবরাহ হয়েছে ১৫৬৩ মিলিয়ন ঘনফুট।

প্রসঙ্গত, মহেশখালীতে সামিট ও এক্সিলারেট এনার্জির একটি টার্মিনাল আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়