শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিভিন্ন সাঝঘর ব্যাসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এথ্য জানা যায়। সাধি মোবারক এর ব্যাবসায়ী মামনু জানালেন, করোনাকালীন সময়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধে বিয়েসাধি বন্ধ থাকায় চরম অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে বিবাহ পোশাক শেরোয়ানী পাগড়ীসহ গায়ে হলুদের নানা উপকরণ ব্যাবসায়ীরা।
[৩] মামুন বলেন, করোনা মহামারির কারনে গত দু'বছর যাবত আমাদের এই ব্যবসায় ধস নেমে এসেছে। লাখ লাখ টাকার ঋণগ্রস্ত হয়ে গেছে। ব্যাংকের লোন নিয়ে বর্তমানে একদিকে লোনপরিশোধ,দোকান ভাড়া বকেয়া পড়ে গেছে। কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় তারাও চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।
[৪] এ অবস্থায় এলিফ্যান্ট রোডের ব্যবাসায়ীরা সরকারের নিকট উদারত্ব আহবান জানিয়ে বলেন, তারা ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে আগ্রহী। তবে সুধ মৌকুফের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিবাহ অনুষ্ঠান অনুমোদন দেয়া হলে এই ব্যবসা আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
[৫] এলিফ্যান্ট রোডের বিভিন্ন সাঝ ঘর দোকানে প্রতিটি সেরোয়ানির দাম ৫০০০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। বিয়ের জুতা ১৫০ থেকে ১০ হাজার টাকা, পাঞ্জাবি ও পায়জামা ১০০০ থেকে শুরু করে ১৫ হাজার পর্যন্ত পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম। বিয়ের কুলা ডালা ফুলের সাজি, পাগড়িসহ দরকারি জিনিসিপত্র।
আপনার মতামত লিখুন :