তানভীর খান: ২/৩ দিন আগে বনানীতে আমার বাসার সামনের রাস্তায় একটা অফিস বিল্ডিং এ আগুন লাগে। যেটা আমাদের বাসা থেকে পরিস্কার দেখা গেসে। আর গতকাল আমাদের বিল্ডিং এর ৩ এবং ৪ তালায় আগুন লাগে। আমার বাসা বনানী ৩ নম্বর রোড এ। আগুন এর সুত্রপাত এখন জানি না। রাত ২ টা দিকে হঠাৎ আমার রুমের বারান্দা থেকে ধোয়া দেখতে পাই। তার ১ মিনিটের মাথায় ৪/৫ টা বিকট আওয়াজ এবং মানুষের চিৎকার। আমার মা ঘুমে, বাসার ২ টা কাজের মেয়ে ঘুমে (জেনি তার বাবার বাসায় ছিলো)। আমি ওদের ডাক দিয়ে গাড়ির চাবি আর মানি ব্যাগ টা নিয়ে মা আর কাজে মেয়েদের নিয়ে ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করি। আমার বাসা ৮ তালায় ছাদ ১০ তালায়।
প্রচন্ড ধোয়া মদ্ধে ছাদের কাছে গিয়ে দেখি ছাদ তালা দেয়া। ততক্ষণ এ আমার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে গেছে। এবং এটা বুঝে গেসি ১০ তালা থেকে আমরা কেউ নিচে নামতে পারবো না। আমি দ্রুত ৮ তালায় ফিরে বাসার জানালা খুলে দেই সব। আর যেদিকে আগুন লাগসিলো সেদিকের সব কিছু বন্ধ করে সবাইকে নিয়ে বারান্দায় চলে যাই। এর মাঝে নিচ থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় ৪ তলার ২ জন মেয়ে গুরুতর আহত এবং একজন এর অবস্থা আসংকাজনক। এই উৎকন্ঠায় ৩০/৩৫ মিনিট কাটাই।
এর পর ফায়ার ব্রিগেড এর গাড়ী এবং লোকজন এসে আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়োন্ত্রনে আনে। এবং তারও ৪০ মিনিট পর বাসা থেকে তারা আমদের উদ্ধার করে। এই পুরা সময়ে আমার মেইন গেট এ থাকা fire extinguisher নেয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। ধোয়ার জন্য দেখতেও পারি নাই খুলতেও পারি নাই। এত কিছু লিখার কারন হলো, আগুন লাগলে শুধু যে আগুনের কারনে আহত হবেন তা নয়, ধোয়া তেও অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। কাল আমার মা প্যনিক এট্যাকে ছিলো। তাতে করে আমিও মাঝে মাঝে নারভাস হয়ে গেসিলাম। বিপদে মাথা ঠান্ডা রেখে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যেতে হয়। যারা এই বিপদে খোজ নিয়েছেন দোয়া করেছেন সবার প্রতি শ্রদ্ধা। সবাই নিরাপদ এ থাকবেন।
আপনার মতামত লিখুন :