রেজা আলী পাটোয়ারী: তালেবানদের আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখলের ফুটেজের সাথে ঠিক একশ বছর আগের একটা দৃশ্যপট (‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ ছবি বদৌলতে) চোখে ভেসে উঠলো। আরবরা (কিং ফয়সাল আর ব্রিট সামরিক অফিসার লরেন্সের ব্রেণ চাইল্ড, বাস্তবে এর কোনোকালেই অস্তিত্ব ছিল না, নেইও, কারণ আফগানদের মতো ওঁরাও গোত্রে বিভক্ত ছিল এখনও আছে, তাই ভাষা-সংস্কৃতি-ধর্ম এক হয়েও এতগুলো দেশের পয়দা হয়েছে!) যখন দামস্ক দখল করেছিলো সেটার সাথে। লরেন্স ওয়াদা করলেও ব্রিট পলিসি ম্যাকাররা আরবদের অধীনে দামস্ক ছেড়ে দিতে রাজি হয়নি। ব্রিট জেনারেল কী করেছিলেন? আরবাদের গোটা একদিন দামস্ক দখলে রাখতে দিয়েছিলেন। শহরের সকল সার্ভিস রিলেটেড দপ্তর ছিল ব্রিটদের অধীনে। ওরা সার্ভিস বন্ধ করে দেয়। গলিবতের মাল করায়ত্ব করে গোত্রগুলো যার যার মতো কেটে পরে এক সময়।
এমন অনায়াসে কাবুল তালেবানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মানে কী? একশত বছরের আগের গ্যাট আপ, মাইন্ড সেট দিয়ে বর্তমান তালেবান'রা গোটা আফগানিস্তান কিভাবে চালাবেন যেখানে আরবারা ক্ষুদ্র দামেস্কই চালাতে পারেননি? যে যেই দেশে বসেই তালবানের সমর্থন করেছেন, শুধু একবার ভেবে দেখবেন যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে তাদের পরিবর্তে যদি তালেবানরা সেই দায়িত্ব নেয় তাহলে কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন? মোহাচ্ছন্নতা থেকে বের হয়ে বাস্তবে ফিরে আসুন। সর্বোপরি তালবান-কায়দা-আইএসআই-জামায়াত এদের কেউ আল্লাহ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নন। ছিলেন রসুলুল্লাহ। উনি শেষ নবী। পবিত্র কোরআন সর্বশেয গ্রন্থ। কেন? কারণ মানুষ ততোদিনে নিজদের শাসন করতে শিখে গ্যাছে। রসুলুল্লাহ্ওফাতের পর কুরআন-হাদীসের অপব্যাখা দিয়ে নিজদের ক্ষমতা ভোগের পায়তারার ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় তালেবান। সর্বোপরি যে মার্কিনিদের গাল পারেন তাঁদের দালালী করতেই যে, এর সৃষ্টি। পবিত্র কোরআনে তখনকার বাস্তবতা-পরিস্থিতিতে যাদের মুনাফেকুন বলা হয়েছিলো, আজকের বাস্তবতায় আপনি তাই যদি তালেবানদের সমর্থন করে থাকেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :