সুজন কৈরী : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর ছেলে পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতেন শাহীন আলম হৃদয় নামের একজন। বাস্তবে অভিযুক্ত শাহীন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ডিবিসি টিভি
ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার একজন ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত শাহীন মিথ্যা পরিচয়ে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। তার কৌশলে নারীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে শুরু করেন ব্ল্যাকমেইলিং। বাধ্য করেন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে। পাশাপাশি ছবি ও ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকাও। গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত তরুণ এখন কারাগারে রয়েছেন।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের ডিসি মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, তার উদ্দেশ্যই হচ্ছে অবৈধ এসব কাজ করা ব্ল্যাকমেইলিং করা। একাধিক নারী তার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছে। তিনি প্রায় দুই-তিন বছর ধরে এসব কাজ করছিলেন। এখন পর্যন্ত ১০-১২ জন নারীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, অনলাইনে ফাঁদ পেতে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসেই এ ধরনের মামলা হয়েছে অন্তত ২০টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জন অভিযুক্তকে। তবে ভুক্তভোগীদের অনেকেই মামলা করতে আগ্রহী হন না। এজন্য সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
ডিসি মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কিছু আদান-প্রদান করা উচিত না যাতে পরে তা দিয়ে কেউ ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়। অনেক সময় আবার হ্যাকাররা আমাদের ব্যবহৃত ডিভাইসটিও হ্যাক করতে পারে। তাই এমন কিছু মোবাইলে রাখা যাবে না, যা দিয়ে হ্যাকারদের মাধ্যামে বিপদগ্রস্ত হতে হয়।
আপনার মতামত লিখুন :