জেরিন আহমেদ, শিমুল মাহমুদ: [২] এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যুহার কমেছে ২০ শতাংশ ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে দেশে নতুন আরো ৪ হাজার ৮০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার দাঁড়াচ্ছে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা ১৭ জুনের পর সর্বনিম্ন।
[৩] সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল; তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ২৮২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। আর গতকাল মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের।
[৪] শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা ছিল ২২ জুলাইয়ের পর সবচেয়ে কম। আর ৩০ জুনের পর সবচেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল শনিবার। সেই হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু দুটোই বেশ খানিকটা বেড়েছে।
[৫] গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ২ হাজার ৮৩৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি। আগের দিন এ বিভাগে ২ হাজার ১৩৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। যে ১৩৯ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৩৮ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৬] সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন আরও ৮ হাজার ৪৫৩ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৪ জন।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৮৪২ জন, যা আগের দিন ৭৬ হাজার ৬৩০ জন ছিল। এক সপ্তাহ আগেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল লাখের বেশি।
[৮] বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। আর ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২০ অগাস্ট তা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৪ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ১৩ লাখের বেশি রোগী।
আপনার মতামত লিখুন :