মাহবুবুর রহমান: [২] নোয়াখালীতে অনলাইন শপ ই-অরেঞ্জের প্রতারণার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগীরা।
[৩] রোববার (২২ আগস্ট) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে শতাধিক ভুক্তভোগী এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে তাঁদের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন এবং বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
[৪] কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ই-অরেঞ্জ ডটকমের বাইক ও ভাউচার ক্রেতারা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা সেখানে মানববন্ধন করেন।
[৫] এসময় তাঁরা ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ সম্বলিত ব্যানার ও পোষ্টার বহণ করেন এবং প্রতারণার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন। মানববন্ধন শেষে ই-অরেঞ্জের প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়।
[৬] মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাইক ক্রেতা আইনজীবী তানজিল আহমেদ, মো. নিশান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাশেল প্রমুখ।
[৭] ভুক্তভোগী মো. নিশান বলেন, দেশ সেরা ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে তিনি অনলাইনে ই-অরেঞ্জ থেকে পন্য কিনতে আগ্রহী হন। এরপর গত ১৮ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকার বাইক ও ভাউচার ক্রয় করেন। নিয়ম অনুযায়ী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পন্য সরবরাহ পাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় তিনমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পন্য পাননি।
[৮] আরেকজন ক্রেতা মো. নাজমুল ইসলাম (জিকু) বলেন, তিনিও অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার পন্যের ক্রয় আদেশ দিয়েছেন এবং সমুদয় অর্থ পরিশোধ করেছেন। কিন্তু বারবার তারিখ দিয়েও প্রতিষ্ঠানটি পন্য সরবরহ করেনি। এরই মধ্যে তাঁরা ই-অরেঞ্জের কার্যালয় গিয়েও দেখেন তালা ঝুলছে। এ অবস্থায় প্রতারণার খপ্পরে তাঁরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। তাই উল্লেখিত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন নাজমুল ইসলাম।
[৯] ভুক্তভোগীরা জানান, নোয়াখালীতে কয়েকশ তরুণ-যুবক ই-অরেঞ্জ থেকে পন্য কিনে ইতোমধ্যে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু মাসের পর মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পন্য সরবরাহ না পেয়ে তাঁরা এখন চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই তাঁরা ই-অরেঞ্জে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি